
এই পরিস্থিতিতে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে সিবিআই। তাই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি হবে। শুধুমাত্র আইনজীবীরা আদালতে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেবেন। আর নিজাম প্যালেসে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় সিবিআই দফতরে এক প্রকার ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের দুই মন্ত্রী ও মদন মিত্রকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। বাইরে সেই সময়েই জড়ো হয়েছেন বিপুল সংখ্যায় তৃণমূলের সমর্থক।
যত সময় এগোয় তত উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে গেটের বাইরে। বেলা সওয়া একটা নাগাদ চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। নিজাম প্যালেসের মূল ফটকের সামনে কর্তব্যরত রাজ্যপুলিশ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তা সামলাতে পারেনি।
শুরু হয় ইট ও বোতল ছোড়া। গেটের ভিতরে তখন বিরাট পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে চার নেতামন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
এজেসি বোস রোড উড়ালপুলের নীচে জমায়েত হওয়া তৃণমূলের কর্মীরা কাচ ও প্লাস্টিকের বোতল, ইট পাথর ছুড়তে শুরু করেন। অনেক সাংবাদিকের গায়েও সেসব লাগে। গেটের ভিতর থেকেই লাঠি চালিয়ে সামনের অংশ টুকু ফাঁকা করার চেষ্টা করে বাহিনী। কিন্তু উত্তেজনা কমানো যায়নি। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, দুপুর পৌনে দুটোর সময়েও অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে।