
কিন্তু সাংসদদের কী হল?
নারদ কাণ্ডে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, অপরূপা পোদ্দার, শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়। শেষ দু’জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বছর কয়েক আগে অকালে মৃত্যু হয়েছে সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদের।
সোমবার দুই মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর তাই প্রশ্ন উঠেছে, সাংসদদের কী হল?
এই মামলায় এদিনই দুপুরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট পেশ হওয়ার কথা। অনেকের মতে, তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যে হেতু এঁরা সকলেই কোনও না কোনও আইনসভার সদস্য তাই এঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার আগে সেই সভার অনুমতি প্রয়োজন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভা বা লোকসভা – দুই সভার স্পিকারই কোনও অনুমতি দেননি। তবে এই দুই মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নারদ মামলায় চার্জশিট দেওয়ার ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল, বিধানসভার স্পিকারের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। কিন্তু তার পরেও সিবিআই আমার কাছে অনুমতি নেয়নি, কোনও চিঠিও দেয়নি। তাঁরা রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। বেআইনি ভাবে অনুমতি নিয়ে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত এ ব্যাপারে কী নির্দেশ দেবে জানি না। তবে আইনজীবী হিসাবে আমি এটা বলতে পারি।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অবশ্য বক্তব্য, এই ঘটনার বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা হচ্ছে। অনেকে বলছে, কেন বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন না নিয়ে রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়া হল। কারণ, নারদ কাণ্ডের সময়ে এঁরা মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রীরা সাংবিধানিক ভাবে রাজ্যপালের কাছে দায়বদ্ধ। রাজ্যপালের থেকে তাঁরা শপথ গ্রহণ করেন। তাই রাজভবনই অনুমতি দিয়েছে।