
গত বুধবার লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সোফি। দেশে ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সর্দি-জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। সেখান থেকে শ্বাসকষ্ট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কোয়ারেন্টাইনে সোফি গ্রেগরি ট্রুডো। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সংক্রমণ কতটা সেটা জানার জন্য সোফির রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবোরেটরিতে। সেই রিপোর্ট না আসা অবধি নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।
“নানারকম শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল। পরীক্ষায় ধরা পড়ে আমি সিওভিডি ১৯ পজিটিভ। তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে আসব,” বলেছেন ৪৪ বছরের সোফি।
স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তাঁর শরীরে কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী দু’সপ্তাহ তিনি নিজেও আইসোলেশনে থাকবেন বলে খবর।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে বিশ্বজোড়া মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সেখানে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজার। সংক্রামিত লক্ষাধিক। হু-র রিপোর্ট বলছে, চিনের বাইরে ভাইরাস আক্রান্ত অন্তত ৪৩,৫০০ জন। চিনের পরেই করোনা মহামারী ইতালিতে। গতকালের হিসেবে সেখানে ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৩০। আক্রান্ত প্রায় ১২,৪০০। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনে দু’হাজারেরও বেশি করোনা সংক্রামিত। ব্রিটেনে নতুন ১০০ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আমেরিকাতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। ইউরোপের ২৬টি দেশ থেকে পর্যটকদের আসা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডাতেও ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা অন্তত ১৩০। দেশে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ফোনেই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।