
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনিয়মটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল হাইকোর্টেরও। নজিরবিহীন ভাবে একটি মামলায় সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের কজাছে সুপারিশ করলেন, এই চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে সরানো যায় কি না দেখুন।
২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগের জন্য এসএলএসটি পরীক্ষা হয়। সুমনা লায়েক নামে এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তালিকায় আগে নাম থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি। অথচ তালিকার নীচে থাকা পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি মামলার শুনানিতে তা প্রমাণিত হয়।
এই মামলার পর্যবেক্ষণেই সোমবার আদালত বলেছে, ইনি কোন ধরনের চেয়ারম্যান? আদালত ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। এসএসসি মানেই মামলা আর মামলা। কোনও ক্ষেত্রে পরীক্ষা না নিয়েই নিয়োগের অভিযোগ তো কোনওটায় মেধা তালিকাতেই অনিয়ম। বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়েও এতটুকু সংশোধন হয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশনের। রাজ্যের হাজার হাজার ছেলে মেয়ের নিয়োগ আটকে রয়েছে ডজন ডজন মামলায়। শিক্ষক নিয়োগ ব্যাপারটাই কার্যত লাটে উঠতে বসেছে।
পরিস্থিতি যখন এমনই তখন সোমবার তাৎপর্যপূর্ণ সুপারিশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ঘুঘুর বাসা বলে সমালোচনা করেছিল হাইকোর্ট। এবার সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদচ্যুত করার সুপারিশ করল আদালত। সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, চার দিনের মধ্যে এই অর্ডার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের কাছে পাঠাতে হবে হাই কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে। অনেকের মতে, এই সুপারিশ রাজ্যের শিক্ষা দফতরের জন্য খুব একটা সম্মানজনক নয়। বরং আদালতের এ হেন মনোভাব স্পষ্ট করে দিল, কী চলছে শিক্ষা দফতরে।