জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও নেতাই, বাঁকুড়া এবং কাঁথিতে বারবার তাঁর কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী।
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ ছিল, কাঁথিতে তাঁর বাড়িকে বিভিন্ন দিক দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। সারাক্ষণ নজরদারি চলছে। তা ছাড়া শুভেন্দুর বাড়ির সামনে তাড়স্বরে ডিজে বক্স বাজানোর প্রসঙ্গও আদালতে উঠেছে।
১০ জানুয়ারি নেতাই ঢুকতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও নেতাইয়ে ঢুকতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। সেদিন নেতাই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা ও শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল তাঁর। মাঝপথে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে আটকে দেওয়া হয়।
সেখান থেকে নেতাই না গিয়ে হেঁটে ভীমপুরের পথ ধরেন তিনি। নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দুবাবু সেদিনই বলেছিলেন, ‘হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেতাইয়ে ঢুকতে দেওয়া হল না, জবাব দিতে হবে।’
বিজেপির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে শুভেন্দুর বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। নেতাইয়ে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। পরিকল্পিত বিক্ষোভের জন্য যদি বিরোধী দলনেতাকে আটকে পড়তে হয় তাহলে তা রাজ্য প্রশাসনের লজ্জা।
সেই শুনানিতে আদালত রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। এদিন আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, নিরাপত্তার জন্যই সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যদিও বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলেননি তিনি।
