
এদিন চাঁদপাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন এক পুলিশ কর্মীর। কিন্তু মৃত্যুর পরেও বাড়িতেই পড়ে থাকে তাঁর দেহ। অভিযোগ ১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই দেহ সৎকার করার কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
জানা গেছে, চাঁদপাড়ার দুলালচন্দ্র মজুমদার পেশায় ছিলেন পুলিশ কর্মী। গতকালই তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও ন্যূনতম চিকিৎসা পাননি তিনি।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের বেড তো দূরের কথা, সামান্য অ্যাম্বুলেন্স টুকুও মেলেনি। শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে অক্সিজেনের সহায়তা পাননি দুলাল বাবু। আজ ভোর রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। করোনার কারণে কোনও প্রতিবেশী সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। এমনকি দেহ সৎকারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য চাইলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
এদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়েরও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্যাটিস্টিক বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। তাঁর ক্ষেত্রেও ছবিটা অনেকটা এক। বুধবার করোনা ধরা পড়ার পর বাড়িতেই ছিলেন তিনি। আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যু্য পর বাড়িতেই কয়েক ঘণ্টা পড়ে থাকে নিথর দেহ।
করোনায় মৃত্যু হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ পড়ে থাকার নজির আগেই দেখেছে বাংলা। গড়ফা থেকে কৃষ্ণনগর, শক্তিনগর থেকে তিলজলা, সর্বত্র ছবিটা এক। মৃত্যুর পর পড়ে থাকছে করোনা রোগীর মৃতদেহ। সাহায্যে এগিয়ে আসছেন না কেউই। প্রশাসন হাত লাগাচ্ছে বহু ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পর।