
বিজেপি বাংলার শত্রু, রাজ্যপাল বাংলা শিখলে ওদের গা জ্বালা করে: কুণাল
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Ananda Bose) নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীরা অখুশি। এতটাই যে মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) বলেছেন, এই রাজ্যপাল নবান্নের জেরক্স মেশিন। রাজভবনকে উনি তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে দিয়েছেন। সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি নিয়ে রাজ্যপালের এই আদিখ্যেতা মানায় না।
স্বপনের এ কথাই লুফে নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করল তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, বিজেপি বাংলা বিরোধী ছিলই। ওরা বাংলা ভাষারও বিরোধিতা করছে। সরস্বতী পুজোর সঙ্গে বাংলার ভাষা ও আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাকেও ওরা ছাড়ল না।
আগামী ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি হবে। বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে কয়েক মাস হল তিনি এসেছেন। এরমধ্যেই ভাষা, সংস্কৃতির প্রেমে পড়ে গিয়েছেন। তাই ওইদিন বাংলা শেখার হাতেখড়ি হবে রাজ্যপালের। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজভবনের আমন্ত্রণ পেয়েছেন কুণালও। স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যপালের হাতেখড়িকে ‘স্টান্ট’ বলে কটাক্ষ করায় কুণাল পাল্টা বলেছেন, ‘বিজেপি বাংলার শত্রু, বাংলা ভাষার শত্রু। রাজ্যপাল বাংলাকে ভালবাসছেন, তাই ওদের এত জ্বালা।’
এর আগে জগদীপ ধনকড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন তখন কুণাল ঘোষরা প্রায়ই বলতেন, বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে ১ নম্বর গভর্মেন্ট প্লেসে চলে এসেছে। রাজ্যপাল হয়ে উঠেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন স্বপন আবার বলেছেন, বাংলার রাজভবন কার্যত তৃণমূল ভবন হয়ে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘আগের রাজ্যপাল তো বিজেপির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বিরোধী দলনেতা-সহ অন্যান্যরা রাজভবনের বারান্দা, উঠোনকে ধর্নার জায়গা বানিয়ে ফেলেছিলেন। এখন তো তেমন কিছু হচ্ছে না। শুভেন্দুরা গিয়ে রাজভবনে রোদ পোহাতে পারছেন না। তাই এত রাগ।’
তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, ‘হাতেখড়ি অনুষ্ঠানটিতে রাজনীতি, পার্টির কোনও ব্যাপারই নেই। তাহলে এই আলোচনা আসছে কোথা থেকে?’ সেইসঙ্গে স্বপনের উদ্দেশে কুণাল বলেন, ‘উনি দীর্ঘদিনের সাংসদ, সাংবাদিক ছিলেন, ওঁর মতো সিনিয়র রাজনীতিকের কাছে এসব আশা করি না। আসলে বিজেপির সঙ্গে মিশে মিশে মানুষটা এইরকম হয়ে গিয়েছেন!’
রাজ্যপালকে নিয়ে ভয়ানক নিরানন্দ শুভেন্দুরা, রাজভবন তৃণমূল অফিস হয়ে গেছে, বললেন স্বপন