
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। একদিন পর শুক্রবারই, নলহাটি থেকে প্রচুর পরিমান অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ডিটোনেটর উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)।
এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রায় ৩১ টন (২৭ হাজার ৫০০ কেজি) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছে। নাশকতার জন্যই এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ৮১ হাজার পিস ডিটোনেটরও উদ্ধার হয়েছে। কারা এই সব মারণ উপকরণ মজুত করছিল, তা জানতে জোরদার তদন্ত ও খানাতল্লাশি শুরু হয়েছে। এর পেছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন জড়িত কিনা তার খোঁজ চলছে।
শুক্রবার সকালে, ঝাড়খণ্ড লোগোয়া নলহাটির (Birbhum) লখনামারা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। একটি গুদাম থেকে উদ্ধার হয় ৩০০ কুইন্টাল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৩ হাজার ডিটোনেটর। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে পরিমাণ মতো আরডিএক্স অথবা নাইট্রোজেল মিশিয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। পুলিশ জানাচ্ছে, বীরভূমে যে পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে তা দিয়ে আস্ত একটা শহর ধ্বংস করে ফেলা যায়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারে (Birbhum) একটি লরি থেকে ডিটোনেটর উদ্ধার করে এসটিএফ। গ্রেফতার করা হয় আশিস কেওড়া নামে এক লরিচালককে। তাকে দফায় দফায় জেরা করেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন আরও বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছে বীরভূমের নানা জায়গায়। তারপরেই তল্লাশি চালিয়ে নলহাটির পাথর খাদান এলাকায় একটি গোডাউনের ভিতর ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে। দেখা যায়, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভর্তি বস্তার ছড়াছড়ি। প্রায় ৬০০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশের একটি গোডাউনে পাওয়া গেছে আরও বিস্ফোরক।
জলপাইগুড়িতে ভূমিকম্প! একে তুমুল বৃষ্টি-বজ্রপাত তার মধ্যেই কম্পনে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের
প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই বিস্ফোরক মাওবাদীদের জন্য আনা হতে পারে। তবে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এখানে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খাগড়াগড় কাণ্ডের সময় শিরোনামে এসেছিল বীরভূম। সেখানে জেএমবির শীর্ষ নেতাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছিল, স্লিপার সেলেরও খোঁজ পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, “বীরভূম বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও সময় বিস্ফোরণ হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরক উদ্ধার হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের কাছে এই সব ধরনের বারুদ মজুত আছে।”