Latest News

পলিটব্যুরোর সামনে যেন ইজ্জত না যায়! ম্যানেজ করতে নামল বঙ্গ সিপিএম

দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী ১৯ ও ২০ জুন সিপিএমের দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলা ভাষা জানেন বা বোঝেন এমন সাত পলিটব্যুরোর সদস্য। তার আগে বাংলা সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলাগুলিকে ম্যানেজ করার চেষ্টায় প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গিয়েছে।

গত রাজ্য কমিটির বৈঠকে একাধিক জেলা কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। কোনও কোনও জেলা এও বলেছিল, এক পলিটব্যুরোর সদস্য কার্যত দাদাগিরি করে আইএসএফ-কে চাপিয়ে দিয়েছিলেন ঘাড়ের উপর। কিন্তু বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব চাইছেন না শনি-রবিবারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে খুব একটা ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখুক পলিটব্যুরোর সদস্যদের সামনে।

সিপিএম সূত্রে খবর দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন পলিটব্যুরোর সাত সদস্য। তাঁরা হলেন, সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত, নীলোত্‍পল বসু, বৃন্দা কারাত, হান্নান মোল্লা, তপন সেন এবং মানিক সরকার।

সিপিএমের উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের অন্তত ১৬টি জেলার নেতৃত্ব গোপনে জানাচ্ছেন, ফোন করে রাজ্য নেতারা বলেছেন, পলিটব্যুরোর সদস্যদের সামনে বেশি ঝাঁঝালো কিছু না বলতে। যদিও এ ব্যাপারে অনেক জেলা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজারদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের পক্ষে চুপ থাকা আর সম্ভব নয়। আবার অনেক জেলার নেতৃত্ব পদের লোভে মুখে লিউকোপ্লাস্ট সেঁটে নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এমনিতে দুই বর্ধমান ও উত্তর দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক বাদ দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে প্রায় কেউ নেই। কিন্তু একুশের ভোটের পর সিপিএম নেতাদের চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইএসএফ।

রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য আগের বৈঠকে ভোটের আগের হঠাত্‍ জোট নিয়ে সরব হয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু শনি-রবির বৈঠকে তা যাতে বেশি ঝাঁঝালো না হয় সেটাই এখন নিশ্চিত করতে মরিয়া সম্পাদকমণ্ডলীর একটা অংশ।

তা ছাড়া সাঁইবাড়ি নিয়ে সম্প্রতি কংগ্রেসের সঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্যর সংঘাত, তারপর সূর্য মিশ্রর জবাব চেয়ে বিধান ভবনের চিঠি, ফরওয়ার্ড ব্লকের বক্তব্য– এসব নিয়েও রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল অধিবেশন সরগরম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিপিএম সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তিন চার জন সদস্য বিভিন্ন নেতাদের ফোন করে ‘টোন ডাউন’ করার বার্তা দিচ্ছেন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে বঙ্গোপসাগরের কোল পর্যন্ত একাধিক রাজ্য কমিটির নেতার বক্তব্য, ‘অনেক হয়েছে আর না।’ 

You might also like