
পুলিশ জানিয়েছে, ওই অস্ত্র কারখানা থেকে ১০টি ওয়ান সাটার, ২পিস পাইপ গান সহ অস্ত্র তৈরির নানান সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বকুলতলা থানার পুলিশ ও বারুইপুর স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়।
বকুলতলা থানা এলাকার ৫ নম্বর মণিরতঠ এলাকায় খয়রুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে এই কারখানার হদিশ মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে বেশ কয়েকবছর ধরেই গ্রামের মধ্যে লেদ কারখানার আড়ালে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল সে। এখানে তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র কোথায় বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনা সামনে আসায় নানানমহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এত দিন ধরে কিভাবেই পুলিশের নাকের ডগায় অস্ত্র কারখানা চালিয়ে আসছিল খায়রুল? ভোটের আগেই তারা ধরা পড়ল কেন? বিরোধীদের দাবি, ভোট আসলেই সরকার তৎপর হয়ে উঠে। কিন্তু এত দিন ধরে সেখানে অস্ত্র কারখানা রয়েছে, তানিয়ে কোনও কিছুই জানতে পারেনি প্রশাসন। এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। এর আগেও রাজ্যের বহু জায়গাতে অবৈধ কারখানার হদিশ মিলেছে। আর কিছুদিন বাদেই ভোট তাই আগের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।