দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। অথচ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশই অনুপস্থিত। বিশেষ করে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের উপস্থিতির হার বেশ কম। সংসারের জোয়াল টানতে গিয়ে তাদের অনেকেই পড়াশোনা থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের মতো পূর্ব বর্ধমানের কয়ারপুর গ্রামের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের টেস্ট পরীক্ষাতেও পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির হার চোখে পড়ার মতো। টেস্টের প্রথম পরীক্ষার দিনই ক্লাসরুমের অনেক বেঞ্চ ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেল।
দীর্ঘ লকডাউনের জেরে পরিবারগুলিতে নেমে এসেছে চরম আর্থিক দুর্দশা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছোট ছোট ছেলেরা কেউ কেরল, আবার কেউ কর্ণাটক-তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিকে পাড়ি দিয়েছে। সেখানে কাজ করে সংসারের টাকা পাঠায়। অনেকেই আবার জেলাতেই দিনমজুরির কাজ খুঁজে নিয়েছে। ফলে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। সেই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট পরীক্ষাতেও পড়ুয়াদের একাংশ অনুপস্থিত।
স্কুলের শিক্ষকরাও বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে তাঁরা ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন। তবুও অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁদের আশা হয়তো আরেকবার অভিভাবকদের বোঝালে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।