
‘আমাদের দেখেই সমাজ শিখবে’, শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বললেন বৈশাখী
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানিয়েছেন, ফেসবুক প্রোফাইলের নাম বদলে ফেলার পর থেকেই বহু মানুষ তাঁদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি সমাজের কথা ভেবে কোনও কাজ করেন না। আর কখনও তিনি শোভন বাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে রাখঢাক করেননি। তাই এই শোভন-বৈশাখী সম্পর্ক ‘সারা সমাজের কাছে দৃষ্টান্তমূলক’।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম বদলে যাওয়ার পর পরই তাঁদের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে উচ্ছেদ নোটিস পাঠিয়েছে শোভন বাবুর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির লোক। জানা গেছে ওই ফ্ল্যাট নাকি আসলে রত্না দেবীর দাদার নামে রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি বসবাস করছেন শোভন-বৈশাখী।
এই উচ্ছেদ নোটিসের পরেই নিজের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বান্ধবী বৈশাখীর নামে উইল করে দেন শোভন বাবু। সেই সঙ্গে বেহালায় তাঁর বাড়িতে রত্নার থাকা নিয়েই তোপ দাগেন।
ঘটনা পরম্পরা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। এরপর একবার রত্না দেবীর নামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে লালবাজারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৈশাখী দেবী। আর বলা বাহুল্য, কোনও কাজেই রাখঢাক নেই। বৈশাখী দেবীর বক্তব্য, ‘আমি যা করি সবটাই হৃদয়ের তাগিদে। কে কী বলল তা নিয়ে ভাবি না।’
ভুলে গেলে চলবে না, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করে যখন জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে রাত্রে জেলের দরজায় দাঁড়িয়ে অন ক্যামেরা কী আকুল কেঁদেছিলেন বৈশাখী। এমন অটুট বন্ধুত্ব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম কাটাছেঁড়া হয়নি। তবু শোভন-বৈশাখী আছেন শোভন-বৈশাখীতেই।