
এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন বিহারের মুখ্যসচিবকে। গঙ্গায় ভাসা মৃতদেহ যাতে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তা নিয়েই প্রতিবেশী রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিহারের গঙ্গায় ভাসা মৃতদেহগুলি যদি সরকারি উদ্যোগে আটকানো হয়, তাহলে আর পশ্চিমবঙ্গের চিন্তার কারণ থাকবে না।
গঙ্গায় ভেসে ভেসে মৃতদেহ মালদাতেও আসতে পারে, এমন আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গতকালই। এর আগে সোমবার বিহারে এবং মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছিল। কোথাও ৫০,কোথাও ১০০, গঙ্গার জলে ভেসে ভেসে পাড়ে এসে জড়ো হয়েছিল পচা গলা ফুলে ঢোল হয়ে যাওয়া মৃতদেহ।
কোভিড পরিস্থিতিতে শ্মশান বা কবরস্থানে সৎকার করতে না পেরে মৃতের পরিবারের লোকজন নিরুপায় হয়ে দেহ গুলি গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছেন তেমনটাই মনে করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। মৃতদেহ থেকে কোভিড ছড়ানোর আতঙ্কে কাঠ হয়েছিলেন এলাকাবাসী।
বিহারের প্রশাসন জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেসে এসেছে ওই সমস্ত মৃতদেহ। দেহ জলে ভাসিয়ে দেওয়ার নিয়মই নেই তাঁদের রাজ্যে। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া গঙ্গাপাড়েই দেহগুলি ভেসে আসায় এই দাবি আরও জোরদার হয়েছিল।
এমন অবস্থায় গঙ্গার জলে বয়ে মৃতদেহ পশ্চিমবঙ্গেও ভেসে আসতে দেরি হবে না, আশঙ্কা তেমনটাই। গতকালই এ নিয়ে মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। আজ বিহারের মুখ্যসচিবকেও এই নিয়ে আবেদন জানালেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।