
রাতে দেখা গেল দিল্লিতে অভিষেকের সাংসদ বাংলোর বাইরের দেওয়ালে একদল লোক গিয়ে কালি লেপে দিয়েছে। তাদের হাতে কোনও ঝাণ্ডা ছিল না। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজনই এই নোংরামো করেছে।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় যদিও এ নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি। নিউটনের তৃতীয় সূত্র স্মরণ করিয়ে দিয়ে লকেট বলেন, “প্রতিটা ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন , “এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপির লোকজনই এই কাণ্ড করেছে। এই দলটাই এইরকম।”
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনের সামনেও একদল লোক বিক্ষোভ দেখায়। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকে। তড়িঘড়ি বঙ্গভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা দরজা বন্ধ করে দেয়। যদিও সেখানে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটেনি।
নাড্ডার কনভয়ে একাধিক গাড়িতে ইট, পাথর নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। যদিও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলেছে, তাঁর কনভয়ে কিছু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঠারেঠোরে হামলার দায় বিজেপির ঘাড়েই চাপিয়েছেন। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বক্তৃতা করতে মমতা বলেন, “চাড্ডা, নাড্ডা, গাড্ডা, ফাড্ডা যে পারছে চলে আসছে!” তিনি আরও বলেন, “তোমার কনভয়ে কেন ৫০টা গাড়ি থাকবে। আমার তো তিনটে গাড়ি থাকে। আমি পছন্দ করি না!”
বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা নিয়ে জাতীয় স্তরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা-সহ একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ঘটনার নিন্দা করেছেন। একযোগে সকলেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।