
অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে সমস্ত চিকিৎসকের নাম। কোন ইনস্টিটিউট থেকে কোন বিষয় নিয়ে তাঁরা পাশ করেছেন, তাও উল্লেখ করা আছে সেখানে। সেইসঙ্গে বলা আছে কোন হাসপাতালে কোন দায়িত্ব নিয়ে পোস্টেড হবেন তাঁরা। এই অর্ডারের পরে ৭ দিনের মধ্যে জয়েন করতে হবে কাজে। কারও ভিন্ রাজ্যে ভ্রমণের ইতিহাস থাকা চলবে না।
যে যে হাসপাতালে নিযুক্ত হতে চলেছেন এই সদ্য পাশ করা চিকিৎসকরা, তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ানোর ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে হাসপাতাল সুপার, সিএমওএইচ-দের।
বস্তুত, এই করোনা পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের নানাভাবেই উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য। ঠিক এক মাস আগে ঘোষণা হয়, স্টাইপেন্ড বাড়ছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এতদিন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পেতেন ২৩ হাজার ৬২৫ টাকা, সেটা বাড়িয়ে করা হয় ২৮ হাজার ৫০ টাকা। মাসে ৪৪২৫ টাকা করে বাড়ে তাঁদের প্রাপ্য।
যাঁরা কোভিড যুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা, বিশেষ করে যাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত, তাঁদের সম্মান জানানোর জন্যই ১০ হাজার জুনিয়র চিকিৎসকের স্টাইপেন্ড বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
শুধু তাই নয়, দিন কয়ের আগে, ১৭ জুন আরও ঘোষণা হয়, যাঁরা ডাক্তারিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করছেন, তাঁরা যদি সেই সব ‘ডিফিকাল্ট এরিয়া’য় স্বেচ্ছায় কাজ করতে চান ,তাহলে তাঁদের পরীক্ষার নম্বর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত দিয়ে দেওয়া হবে আগে থেকেই। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের কোনও পরীক্ষায়, ১০ নম্বর এই খাতেই পেয়ে যাবেন চিকিৎসক পরীক্ষার্থীরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন, সামনেই অনেকের ফাইনাল পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে ৩০ জুন পর্যন্ত যাঁদের পরীক্ষা, তাঁদের তার পরের দিন থেকেই কাজে নিয়োগ করা হবে। সেই কথা মতোই চলে এল নিয়োগের নোটিস।