
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। আসেন এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিপোর দুই নিরাপত্তা কর্মীকে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে তিনটের পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ডিপোর দুই নিরাপত্তা কর্মী। আজ সকাল ছ’টা নাগাদ তুফানগঞ্জ ডিপোতে আসেন এই ডিপোর আধিকারিক শ্যামল দাস। এসে দেখতে পান মূল গেটে তালা ঝুলছে। পাশের একটি গেট দিয়ে কোনও মতে ডিপোতে ঢোকেন তিনি। এরপরেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। ডিপোতে থাকা প্রায় ১২-১৩টি বাসের চাবি নিয়ে গিয়েছে কেউ। রেখে গিয়েছে চিরকুট। ‘চাবিটি আমার কাছে আছে।’ তার নিচেই দেওয়া রয়েছে একটি ফোন নম্বর। সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে অবশ্য কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এরপরেই ওই আধিকারিক যোগাযোগ করেন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে। তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেন। পৌঁছোয় পুলিশও। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী তুফানগঞ্জ ডিপোতে এসে দুই নিরাপত্তা কর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “গুরুতর ব্যাপার। চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও ডিভিশনাল ম্যানেজারদের নিয়ে কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছি। কারা কী উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটালো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এ দিকে এই ঘটনার জেরে সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা এই ডিপো থেকে কোনও বাস চলাচল করেনি। তাই সকালে কাজে বেরিয়ে চূড়ান্ত নাকাল হন বাসিন্দারা। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা শহরে।