Latest News

ফের হাতি মৃত্যু, লালগড়ের গ্রামের পথে মিলল দেহ

দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম : ফের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু হল লালগড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে রামগড় গ্রামপঞ্চায়েতের লোকাট গ্রামের পথের উপর গ্রামবাসীরা ওই হাতিটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও বনদফতরে খবর দেন তাঁরা। ছুটে আসেন কাঁটাপাহাড়ি বিট ও লালগড় রেঞ্জের আধিকারিক ও কর্মীরা। আসে পুলিশও।

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালগড় ব্লকের রামগড়, সিজুয়া, ধরমপুর এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টি হাতির একটি দল। কয়েকদিন আগে রামগড়ের লোকাট গ্রামে হাতির দলটি হানা দিয়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙে। নষ্ট করে জমির ফসল। এই হাতিটি সেই দলেরই বলেই প্রাথমিক অনুমান বনদফতরের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা প্রথমেই খতিয়ে দেখেন বন দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, অনেক সময়েই গ্রামাঞ্চলে হাইটেনশন লাইন ছিঁড়ে পড়ে এমন বিপত্তি ঘটে। অনেক সময় আবার, হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে গ্রামের মানুষ গ্রামে ঢোকার মুখে  বৈদ্যুতিক তারের বেড়া দিয়ে দেয়। তবে ওই গ্রামে এখনও পর্যন্ত এমন কিছুর খোঁজ মেলেনি।

মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও সন্দীপ বেড়ওয়ালা বলেন, “কাঁটাপাহাড়ি বিটের পূর্ণপানি মৌজায় ৫০ থেকে ৫৫ বছরের একটি স্ত্রী হাতির দেহ পাওয়া গেছে। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে বলা যাবে।

তবে ঝাড়গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মুত্যু নতুন ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার নয়াগ্রাম ব্লকে জমির ফসল খেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক পূর্ণবয়স্ক হাতির। খুব সম্প্রতি বিনপুর থানার সাতবাঁকি গ্রামে জমির উপর ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারের ছোবলে মৃত্য হয় একটি দাঁতাল ও দুটি স্ত্রী হাতি সহ মোট তিনটি হাতির। এর জেরে বারেবারেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বনদফতরকে।

You might also like