
আরও পড়ুন- পার্থর হাত ধরে তৃণমূলে পরেশ, কিন্তু পঞ্চায়েত সেই বামেদেরই
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মেধা তালিকা বদল হল কেন? কীভাবেই বা তালিকায় এল কোচবিহারের সদ্য প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম?
আরও পড়ুন : Exclusive: তৃণমূলে নাম লেখাতেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ের নাম উঠল স্কুল সার্ভিসের তালিকায়
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্ন শুনেই চটে ওঠেন তিনি। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, “প্রমাণ আছে? কে বলেছে, ওঁর নাম আগে তালিকায় ছিল না।” এ কথা বলেই রাগী রাগী মুখ করে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন পার্থবাবু।
কিন্তু এতে কি প্রশ্নের জবাব মিলল?
না। একেবারেই নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন যে মেধা তালিকা প্রথমে প্রকাশ করেছিল তাতে তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলা প্রার্থীদের ওয়েট লিস্টে অঙ্কিতার নাম ছিল না। বুধবার রাতে ‘দ্য ওয়াল’- এ এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। সেই তালিকা দ্য ওয়ালের কাছে রয়েছে। সেটাকেই প্রমাণ হিসাবে ধরা যেতে পারে!
তা হলে পার্থবাবু কেন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লেন? কেনই বা রেগে গেলেন?
অনেকের মতে, প্রশ্নের এড়িয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিকদের হঠাৎ হঠাৎ রেগে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তা আকছার করতেন। কখনও কখনও এমনটা করতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। প্রশ্ন শুনে কেউ যদি রেগে গটমট করে চলে যান, তা হলে সাংবাদিক নিরুপায়!
আরও পড়ুন : Exclusive: শুধু পরেশ-কন্যা নন, এসএসসিতে গরমিলের গল্প ভূরিভূরি
শুধু পার্থবাবু নন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক নিয়ে এ দিন প্রশ্ন করা হয়েছিল কমিশনের চেয়ারম্যান শর্মিলা মৈত্রকেও। কিন্তু তিনিও ‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব’ বলে জবাব এড়িয়ে যান। ওদিকে পরেশ অধিকারীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি, তিনি ফোনও ধরেননি।
আদতে প্রকাশিত প্রথম মেধা তালিকাটিতে প্রথম স্থানে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। নতুন তালিকায় তাঁর নাম দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। আবার তালিকায় ৬০ নম্বর স্থানে ছিল রূপালি রায়ের নাম। অঙ্কিতার নাম তালিকায় ঢুকে পড়ায় রূপালি-র নাম ৬১ তম স্থানে চলে গিয়েছে।
স্কুল সার্ভিসের মেধা তালিকায় এই গরমিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছেন প্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, পার্থবাবু এখন জবাব না দিন আদালতে কৈফিয়ত তো দিতেই হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তাই প্রথম প্রকাশ হওয়া তালিকাটি (যে তালিকায় অঙ্কিতার নাম ছিল না) যত্ন করে রাখা হয়েছে। কারণ, প্রমাণ চাইলে দেখাতে হবে তো!