
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার রাতে রুপোলি পর্দার বাস্তবায়ন হল শিলিগুড়িতে। টানটান উত্তেজনার মধ্যে বন্ধ ফ্লাটের দরজা ভেঙে অপহৃত কিশোর রিতঙ্কর সিংহকে উদ্ধার করল পুলিশ।
ওই কিশোরের বাবা মানিককুমার সিংহ শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলকর্মী। এই অপহরণ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তপন দাস ও রতন পালকে, যারা শিলিগুড়ির প্রভাবশালী যুব তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। পুরভোটের আগে দলীয় কর্মীর ছেলেকে অপহরণ কাণ্ডে দলেরই দুই নেতা গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
গত ১৩ জানুয়ারি যুব তৃণমূল নেতা তপন দাসের ক্যাফেতে রিতঙ্কর সিংহ নামে ওই কিশোরকে শেষ দেখা গিয়েছিল। ছেলের সন্ধান না পেয়ে পরের দিন পুলিশের দ্বারস্থ হন তৃণমূল কর্মী ও পেশায় প্রোমোটার মানিককুমার সিংহ। ওইদিনই তাঁর কাছে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে।
এর পর বেশ কয়েকবার অপহরণকারীরা ফোন করে। ওই ফোন কলের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তারা জানতে পারে এনজেপির দেশবন্ধু এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ওই কিশোরকে আটকে রাখা হয়েছে। তারপরই পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় দেখা যায় ওই কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই অপহরণ কাণ্ডে তপন দাস, রতন পালের পাশাপাশি টোটো চালক রাজা সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের অনুমান রতন দাসের ক্যাফেতেই মাদক খাইয়ে ওই কিশোরকে বেহুঁশ করা হয়েছিল। মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান।
তবে ধৃত তপন দাস ও রতন পালকে দু’দিন আগেও তৃণমূল প্রার্থী প্রতুল চক্রবর্তীর সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। তারা এলাকায় ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তি ঢাকতে আইন আইনের পথে চলবে বলে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই আইনের দোহাই দেওয়া হোক না কেন, পুরভোটের আগে অপহরণের ঘটনায় দুই প্রভাবশালী যুব নেতা গ্রেফতার হওয়ায় তারা প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে। এই ঘটনা পুরভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে শাসক দলেরই একাংশের আশঙ্কা।