
১৫০ জন পুরকর্মীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিং। তিনি বলেন, “খুব ভাল কাজ করেছে। কাজটা করার জন্য আমাদের কর্মী, ডেপুটি ইঞ্জিনিয়াররা যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সম্মানিত করলাম। সারা রাত জেগে যেভাবে খেটে তাঁরা জমা জল নামিয়েছেন তা পুরসভার ইতিহাসে বিরল। আমাদের দিদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যাতে ‘অবাধ’ ও ‘স্বচ্ছ’ ভোট করানো হয়। কিন্তু যদি রাস্তায় জল জমে থাকত, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যেতে সমস্যায় পড়তেন, তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হত না। আমাদের দায়িত্ব ছিল জল জমে যাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেটা দেখা। আমরা সকলে মিলিতভাবে সাফল্যের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেছি।“
ভবানীপুর কেন্দ্র যেখানে প্রার্থী খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেই এলাকার আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পুরসভার কাছে। ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার ভোটের আগের দিন বুধবার সকাল থেকেই জলমগ্ন ছিল একবালপুর, মোমিনপুর, সুধীর বোস-সহ একাধিক এলাকা। কোথাও হাঁটু, কোথাও আবার কোমর সমান জল ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এমন জল জমে থাকলে কীভাবে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসবেন সে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা ভোট দিতে আসবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তা ছিল শাসকদলের। কলকাতা পুরসভা সেখানে দ্রুত জল নামানোর জন্য বড় উদ্যোগ নেয়।
এলাকা থেকে দ্রুত জমা জল বের করে দেওয়ার জন্য কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে ভবানীপুরে কাজে লাগানো হয় চারটি গলিপিট ক্লিয়ার ট্যাঙ্ককে। এক একটি ট্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি দু’হাজার লিটার করে। ভবানীপুরের যেখানে যেখানে জল জমেছে সেই সেই জায়গা চিহ্নিত করে মোট আটটি পকেটের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এগুলির মধ্যে তিনটি পকেটের জল দুপুর দুটোর মধ্যেই বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। অতিরিক্ত ৩৫০টি পাম্পও তৈরি রেখেছিল পুরসভা। ভবানীপুরের জন্য ছিল ৩০-৩৫টি অতিরিক্ত পাম্প। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জমা জল বের করে ফেলা হয় একদিনের মধ্যেই।