
সরস্বতীর দিদি পিঙ্কি সাউ জানিয়েছে, মঙ্গলবার তার বাবা এসে প্রথমে মদের টাকার জন্য বচসা শুরু করে। সরস্বতী তার বাবাকে মদ খেতে বারণ করে। খাওয়ার জন্য ভাত বেড়ে দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে তার বাবা। বোতল নিয়ে এসে সরস্বতীর মাথায় আঘাত করে। যন্ত্রণায় সরস্বতী ঘরে ভিতরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তার বাবা। এখানেই শেষ নয়, সরস্বতী যাতে ঘর থেকে না বের হতে পারে তার জন্য দরজায় শিকল দিয়ে দেয়।
পিঙ্কি বলে, “জলন্ত অবস্থাতেই দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে বেরিয়ে এসে টিউবওয়েলের দিকে ছুটে যেতে চায় বোন। তখন ফের বাবা তাকে আটকে দেয়।” অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বুধবার ভোরে মারা যায় সরস্বতী।
প্রতিবেশী চিনু সিং বলেন, “নৃশংস ভাবে মেয়েকে খুনের জন্য শঙ্করের যাতে কঠোর সাজা হয়।” পুলিশ জানিয়েছে শঙ্করকে জেরা করা হচ্ছে।