Latest News

‘হাত-পা বেঁধে সশস্ত্র দানবদের মুখে ঠেলে দিয়েছে আমাদের’, পাকিস্তানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পুলিশই

দ্য ওয়াল ব্যুরো: রক্ষকেরই যেখানে জীবনের দাম নেই, সেখানে বাকিরা কী করবে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে পুলিশই। পাকিস্তানে (Pakistan) মসজিদে আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় (Mosque Blast) মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে। এদিকে আবার পাক পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালি জেলার একটি থানায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের। পাক পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, সরকার তাদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে বদলা নিতেই একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে চলেছে দেশে। প্রাণ যাচ্ছে পুলিশকর্মীদেরই। দেশের রক্ষক যারা তাদেরই কোনও নিরাপত্তা নেই।

মসজিদে বিস্ফোরণের (Mosque Blast) ঘটনায় নিরাপত্তায় যে ফাঁক ছিল, তা স্বীকার করেছেন খোদ খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান মোয়াজ্জম জাহ আনসারি। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের উর্দিতে জঙ্গিরা মসজিদে ঢুকেছিল বলে তাদের ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়নি। সেদিন মসজিদে অনেক পুলিশকর্মীই প্রার্থনার জন্য গিয়েছিলেন। আত্মঘাতী হামলায় বহু পুলিশ কর্মীর প্রাণ গিয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নাক গলানো একেবারেই পছন্দ নয়, বলল ভারত

পুলিশ প্রধানের দাবি, পুরোটাই একটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। একা নয়, একটি দল গোটা অপারেশনটি চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যে মসজিদে হামলা হয়েছে সেই এলাকাতেই পাক গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবিরোধী শাখার একাধিক অফিসারের বাড়ি। এমন এলাকায় কীভাবে গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে জঙ্গিরা ঢুকে জিহাদি হামলা চালাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভেতরের কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাক পুলিশের কয়েকজন অফিসার দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের আসল লক্ষ্য ছিল পুলিশই। পাক-আফগান সীমান্তে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস দমনে বলিদান দিতে হচ্ছে পুলিশকে। সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে নানারকম চেষ্টা করছে পুলিশ। এরই প্রতিশোধ নিতে পুলিশের উপর জিহাদি হামলা হচ্ছে। আর প্রশাসন সব দেখেও মুখ বুঝে থাকছে। হাত-পা বেঁধে সশস্ত্র দানবদের মুখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশদের। তাদের জীবনের কোনও দামই নেই এখানে।

You might also like