
রফিকুল জামাদার
দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের সব জেলার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা হল, নিত্যপ্রয়োজনীয় ২২টি খাদ্য দ্রব্য একই এলাকায় ভিন্ন দামে বিক্রি করা যাবে না। এরজন্য সব জেলায় একটি করে মনিটরিং সেন্টার (Price monitoring center) খুলতে বলেছে দিল্লি। বাংলায় সাতটি জেলায় তা হলেও ১৬টি জেলায় এখনও তা হয়নি। সেই ১৬টি জেলাকেই নির্দেশিকা পাঠাল নবান্ন। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জিনিসের দামের তারতম্য ঠেকাতে এই ১৬টি জেলায় এই সেন্টার তৈরি করতে হবে।
চাল, ডাল, আটা, তেল, নুন, আলু, পেঁয়াজের মতো মোট ২২টি জিনিসের দাম নিক্তিতে মাপবে এই মনিটরিং সেন্টার।
কোন কোন জেলাকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে?
সেই তালিকায় রয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধপমান, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বাকি সাতটি জেলায় ইতিমধ্যেই এই সেন্টার তৈরি হয়েছে।
কী উদ্দেশ্য এই সেন্টার তৈরির?
দেখা যায় কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন দোকানে আটার দাম হয় তো একরকম, অন্য দোকানে হয়তো বেশি। আলু হয়তো এই পাড়ায় কিলো প্রতি দাম এক রকম, পাশের পাড়ায় আবার হয়তো অন্যরকম। এটাই রুখতে চায় দিল্লি। এতে একদিকে যেমন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করা যাবে, তেমনই সাধারণ মানুষকেও কিছুটা সুরাহা দেওয়া যাবে।
এই সেন্টারগুলির কাজ কী হবে?
নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, প্রতি জেলায় এই সেন্টারে একটি টিম থাকবে। তারা হঠাৎ হানা দেবে বিভিন্ন দোকানে। তারপর দাম মিলিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠাবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার সেই রিপোর্ট পাঠাবে দিল্লিকে।