Latest News

South Dinajpur: স্কুল বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের! গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে মিড ডে মিল চালাচ্ছেন শিক্ষকরা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্র সরকারের প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজেদের পকেটের পয়সা দিয়ে বিদ্যালয় চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। দুস্থ শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে সরকারি সাহায্য ছাড়াই রোজ চালানো হচ্ছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। এভাবেই শিক্ষকদের গাঁটের কড়িতে চলছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) ১৮ টি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়।

আরও পড়ুনঃ এবার গমগম করবে সরকারি দফতর, নির্দেশিকা দিয়ে জানাল নবান্ন

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালে খোলা হয় জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয় (School)। শিশু শ্রমিকদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে চালু করা হয় কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্প। শিশু শ্রমিকদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে খোলা হয় চল্লিশটি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়।

এরপর ২০১৯ সালের সার্ভের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমিয়ে ৩০ টি করা হয়। জেলায় মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৩০ জন। অভিযোগ, বিগত ২৭ মাসের বেতন পায়নি সেই শিক্ষকরা। এর মধ্যেই গত ১৪ই মার্চ হঠাৎই দক্ষিণ দিনাজপুর জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টরের কাছ থেকে একটি নির্দেশিকা আসে ৩১ শে মার্চের পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়।

দীর্ঘ বছর বিদ্যালয় চলার পর হঠাৎই এমন বন্ধের নির্দেশিকায় হতবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। এরপর তারা কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। এমনকি শিশুরা কোথায় যাবে, কোথায় পড়াশোনা করবে সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।

কিন্তু দুপুরবেলায় একটু শান্তিতে পেট পুরে খেতে মিড ডে মিলের টানে শিশুরা চলে আসছে বিদ্যালয়ে। বালুরঘাট ব্লকের গোপালবাটি এলাকার অবুঝ এই শিশুদের ফিরিয়ে দিতে পারছেন না শিক্ষকেরাও। বাধ্য হয়েই নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। পাশাপাশি দুপুরে কচিকাঁচাদের মুখে তুলে দিচ্ছেন সামান্য কিছু খাবার। এমনকি মিড ডে মিলের রান্নার কর্মীরাও সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে রান্নার কাজ করে চলেছেন। রান্নার কর্মী সোহাগী বর্মণরা এখনও আশা করছেন, সবকিছু জানার পরে রাজ্য সরকার অন্তত তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবে।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে ‘ভুয়ো’ তথ্য সম্প্রচার! ২২টি ইউটিউব চ্যানেল ‘ব্লক’ করল কেন্দ্র

রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করার পর স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। অনেকটাই আটকানো গিয়েছে নাবালিকা বিবাহ। এবার কাজ ছেড়ে পাঠ্যবই হাতে স্কুলে আসা শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে এই সরকার নতুন কোনও উদ্যোগ নেয় কিনা, সেটাই দেখার।

You might also like