
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয় অধরা থেকে গেল। সেঞ্চুরিয়নে জয়ের পরে ভাবা গিয়েছিল, ভারতীয় দল টেস্ট সিরিজে জিতেও যেতে পারে। কিন্তু জোহানেসবার্গের হারের ক্ষত যে দলের ক্রিকেটাররা ভুলতে পারেননি, সেটি প্রমাণ হল কেপ টাউনে এসেও। সাত উইকেটে হেরে প্রোটিয়ারা ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকেও সিরিজ জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে। আবারও প্রমাণিত, ঘরের মাঠে ভারত বাঘ হতে পারে বিদেশের বাউন্সি পিচে এই দলই বেড়ালই।
একটা টেস্ট ম্যাচ জিততে গেলে সার্বিকভাবে দলকে ভাল খেলতে হয়। ভারসাম্য থাকতে হবে পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও। গত দুটি টেস্টে ভারতীয় দলের হাল সুবিধের মনে হয়নি। বোলাররা নিজেদের কাজ করলেও ব্যাটাররা ব্যর্থই। ঝুলিতে রান না থাকলে লড়াইয়ের শক্তি আসবে কোথা থেকে! তাও দলের পেসাররা নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের খেলায় ধারাবাহিকতা ছিল না।
South Africa come back from the heartbreak at Centurion to win the series 2-1#SAvIND
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 14, 2022
দ্বিতীয় ইনিংসে পুরো ব্যাটিং ইনিংসে ফ্লপ হওয়াই হারের অন্যতম কারণ। ঋষভ পন্থের ১০০ রান ছাড়া বলার মতো কিছু ছিল না। শামি, বুমরারা নিজেদের কাজ করেছেন বলেই লড়াইয়ের মঞ্চ ছিল। কিন্তু প্রতিদিন যেমন রবিবার হয় না, তেমনি দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেননি বোলাররা। যে কারণে কিগান পিটারসেন, বাভুমারা সহজেই জয়ের জন্য ২১২ রানের লক্ষ্য পার করে গিয়েছেন।
সব থেকে বড় কথা, রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারতীয় দল বিপক্ষ দলকে নিয়ে তেমন হোমওয়ার্কই করেনি। যার খেসারত সহজে হেরে দিতে হল তাদের। বরং দক্ষিণ আফ্রিকা ধরে ধরে ভারতীয়দের নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছে। তার মধ্যে প্রোটিয়াদের কিগান পিটারসেন দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়কে নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আরও এক কেপি (কেভিন পিটারসেনের পরে) দেখালেন তিনিও বড় মঞ্চের তারকা।
পাশাপাশি ভ্যান ডার ডুসেনের ৪১ এবং তেম্বা বাভুমার ৩২ রান সহজে দলের জয়কে ত্বরান্বিত করেছেন।