
গত সোমবার রাতেই তিনি দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর জ্বর না থাকলেও সর্দি রয়েছে। স্বাদ-গন্ধ সবই পাচ্ছেন। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে স্টিম থেরাপি, সঙ্গে ককটেল থেরাপিও। ককটেল থেরাপি দেওয়া মানে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চিকিৎসা। তিনি যেহেতু হার্ট অ্যাটাকের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা।
সৌরভের শরীরের সমস্ত প্যারামিটার স্বাভাবিক। অক্সিজেনের মাত্রা ঠিকই রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। খাওয়া দাওয়াও স্বাভাবিক। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন ওমিক্রন রিপোর্ট কী আসে তা নিয়ে।
শুক্রবার বিকেলে কল্যাণী এইমস থেকে সৌরভের জিনের পরীক্ষার ফল আসবে। টোটাল জিনোম সিকোয়েন্সিং রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ছুটি দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ওমিক্রন রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তাঁকে বাড়ি ছাড়া হতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে চিকিৎসকদের মতের ওপর, এমনকি সৌরভ নিজে চাইলে তাঁকে রিলিজ করা হতে পারে।
বছরের শুরুতে হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে হার্টে জোড়া স্ট্রেন বসেছে। তারপর থেকে কিছুটা বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে, যদিও কাজে কোনও ফাঁকি ছিল না। তার মধ্যে মুম্বই থেকে দুবাই, আবার দিল্লি থেকে লন্ডন গিয়েছেন।
দারুণ ভাবেই সামলেছেন বোর্ডের দায়িত্ব। সামনেই আইপিএলের মেগা নিলাম তার জন্যও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারতীয় দলের টেস্ট জয় দেখেছেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে টিভিতে। তারপরে টুইটও করেছেন মেজাজী ঢঙে। সৌরভ লিখেছেন, ‘‘দারুণ জয়, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও ভাল খেলতে হবে ভারতকে হারাতে গেলে, বছরের শুরুতে সবাই ভাল থাকবেন।’’