
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শ্যালকের ঘর থেকে মিলল জামাইবাবুর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল বারুইপুর (Baruipur) থানার নবগ্রাম বেলতলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তৈমুর মোল্লা (৫২)।
মঙ্গলবার দুপুরে বারুইপুর থানার পুলিশ দেহ (body) উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের পিঠে ও ঘাড়ের পিছনে আঘাত আছে বলে জানা গেছে। পুলিশ তৈমুরের শ্যালক-সহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, হিমচির বাসিন্দা ছিলেন তৈমুর। পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার এক আত্মীয় মান্নান মোল্লা জানান, সোমবার সকালে তৈমুরের মেয়ের বিয়ে ছিল। মঙ্গলবার সকালে শাশুড়িকে শ্যালকের বাড়ি নবগ্রামে দিতে গিয়েছিল তৈমুর। সেখানে শ্যালক ও তার দুই ছেলে তাঁকে মেরে ফেলে। কী কারণে এই ঘটনা সে সম্পর্কে তাঁদের কিছু জানা নেই।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জামাইবাবু ও শ্যালক ঘরে বসে গাঁজা খাচ্ছিল। নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই কিছু নিয়ে বচসা বাধে। তা থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি। সে সময় তৈমুরের বুকে, পিঠে ঘুসি মারে তার শ্যালকের ছেলে। মাটিতে পড়ে যায় তৈমুর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।