
ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মৃত যুবকের নাম অশোক রুইদাস (২২)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের তোড়কণা গ্রামে। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স নিয়ে স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত ছিলেন। সোমবার বিকেলে হাসপাতালে বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই আত্মহত্যা করেন তিনি। আকস্মিক এক ঘটনায় স্তম্ভিত পরিবারের বাকিরা।
সূত্রের খবর, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত কার্তিক রুইদাসকে প্রথমে বর্ধমানের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি নাসিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাও দিন আষ্টেক আগের কথা।
কেন হঠাৎ এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন অশোক? শুধুই বাবার মৃত্যুর শোক নাকি এর পিছনে আরও অন্য কারণ আছে?
কার্তিক রুইদাসের আরেক ছেলে অলোক রুইদাসের কথায়, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর বাবার মৃত্যুর খবর আসতেই ভাই অশোক আমাকে খবরটা জানায়। মা ভেঙে পড়বে বলে মাকে আমরা কিছু জানাইনি। এরপর রাত সাড়ে নটা নাগাদ একটা ফোন আসতেই বেরিয়ে যায় অশোক। বার বার ফোন করলেও ফোন কেটে দিয়েছিল।
অবশেষে অশোক তাঁর দাদার ফোনে একটি ম্যাসেজ পাঠান, লেখেন, “বাবার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী”।
এই মেসেজের অন্তত আধঘণ্টা পর অলোক হাসপাতাল চত্বরে ভাইয়ের কাণ্ডের কথা শোনেন। জানতে পারেন, হাসপাতালের পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন অশোক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার বাবা ও ছেলের দেহ বাড়িতে আসে। গোটা ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।