
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভাঁড়ারের টানাটানির কথা অজানা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিষয়টি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন। এরমধ্যে আবার কেন্দ্র কিছু প্রকল্পের টাকা আটকে রাখায় সেই টানাটানি আরও বেড়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের অভিযোগ। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে আয় বাড়ানোর নানান উপায়ও খুঁজছেন আমলারা। সেই পথে হেঁটে এবার তাদের অধীনে থাকা পার্কগুলো বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর (Social Ceremony In Wild Park)।
গোঘাটের এই গ্রামে মৃত্যু মানেই স্কুল ছুটি, শ্মশানে মৃতদেহ পোড়ার গন্ধে টেকা দায়
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বনদফতরের অধীনে অনেক পার্ক আছে। এরমধ্যে চারটি পার্ক আপাতত বিয়ে, জন্মদিন, প্রি-ওয়েডিং শ্যুট ও ওপেন এয়ার কনফারেন্সের জন্য ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা উদ্যানে দাঁড়িয়ে এই কথা ঘোষণা করেন উদ্যান বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ।
বনদফতরের যে পার্কগুলো এই মুহূর্তে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হল- জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা উদ্যান, মাল মহকুমার মাল পার্ক, কোচবিহারের এনএম পার্ক এবং বালুরঘাটের বালুরঘাট পার্ক। ১ জানুয়ারি থেকে নিদৃষ্ট ফি’র বিনিময়ে এই পার্কগুলো আমজনতা ভাড়া নিতে পারবে।
বনদফতরের নির্ধারিত ফি:
প্রি-ওয়েডিং শ্যুট- ১১,০০০/-
বিয়ের অনুষ্ঠান- ৫০,০০০/-
জন্মদিনের অনুষ্ঠান- ২৫,০০০/-
ওপেন এয়ার কনফারেন্স- ১৫,০০০/-
তবে শুধু টাকা দিলেই হবে না। বনদফতরের পার্কে অনুষ্ঠান করতে হলে কিছু শর্তও মানতে হবে। লেসার লাইট, ডিজে, প্লাস্টিক ইত্যাদি ব্যাবহার করা যাবে না। সকালে পার্ক পাওয়া হবে না। বিকেলে বাচ্চাদের খেলার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পার্কে অনুষ্ঠান করার অনুমতি মিলবে।
বনদফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি। তবে তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।