Latest News

চড়া রোদে বসে থাকুন, শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে মরে যাবে, পরামর্শ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর

দ্য ওয়াল ব্যুরো : করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। তাঁর দাবি, চড়া রোদে মিনিট পনের বসে থাকলে শরীরে প্রতিরোধশক্তি বাড়ে। তাতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে সুবিধা হয়। অতীতে এই মন্ত্রীই বলেছিলেন, গোমূত্র দিয়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করা যায়।

বৃহস্পতিবার তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, বেলা ১১ টা থেকে দু’টোর মধ্যে সূর্যের উত্তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় আমরা যদি রোদে বসে থাকি, শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়বে। তাতে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। করোনাভাইরাস মারা পড়বে।

বুধবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেক সাংসদ ও মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, কেউ যেন মহামারী নিয়ে অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য না করেন। গত সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে তিন পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে কোথাও লেখা নেই, রোদে থাকলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সুবিধা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নোভেল করোনার সংক্রমণকে ‘প্যানডেমিক’ বা বিশ্বজোড়া মহামারী ঘোষণা করেছে। চিনে এখন ভাইরাস সংক্রামিত সাত লাখের বেশি, মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। চিনের পরেই করোনা মহামারী হয়েছে ইতালি, ইরানে। ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ব্রিটেন, আমেরিকাতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। ‘হু’-র রিপোর্ট বলছে বিশ্বে এখনও অবধি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০০০,  সংক্রামিত দু’লক্ষের বেশি। করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিন মানুষের উপর প্রয়োগ করেছে আমেরিকা। এমআরএনএ-১২৭৩ (mRNA-1273) নামে ওই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে, দ্বিতীয় পর্যায়ে গবেষণা চলছে। ভাইরাসকে নির্মূল করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। জোরদার কাজ চলছে ইজরায়েল, চিন এমনকি ভারতেও।

এই ভাইরাস কীভাবে ছড়াচ্ছে সেটাই বড় প্রশ্ন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সব ভাইরাসেরই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাহিত হওয়ার জন্য একটা আধার দরকার হয়। যাকে অবলম্বন করেই এরা ছড়িয়ে পড়তে পারে অথবা এক শরীর থেকে অন্য শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই আধার হচ্ছে বাতাস, কাঠ, প্লাস্টিক বা এমনই কোনও অজৈব বস্তু। বাতাসে কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে এই ভাইরাল স্ট্রেন। কখনও একদিনের বেশিও বাঁচতে পারে। বায়ুকণা বা বাতাসের জলীয় বাষ্পকে আধার করে অর্থাৎ ‘এয়ার ড্রপলেট’-এর মাধ্যমে এদের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। কাঠ বা ওই জাতীয় সারফেস হলে সেখানে ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে ভাইরাল স্ট্রেন। এই সময়ের মধ্যে যদি সেইসব সারফেসের সংস্পর্শে কেই আসে বা স্পর্শ করে তাহলে তার মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। তাই হু-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার বার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন। মামুলি সর্দি-কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেও ফেলে না রেখে দ্রুত টেস্ট করানো প্রয়োজন। কারণ দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসের সংক্রমণে উপসর্গ প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। দেহরসের নমুণা পরীক্ষা করালেই সংক্রমণ সামনে আসছে।

You might also like