
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না.. গানের সেই কলি অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দেখালো শিলিগুড়ির (Siliguri) দুই কিশোরী। এক বন্ধুর বিয়ে ঠিক হয়ে যেতেই একসঙ্গে দুজনই বেছে নিল চরম পথ, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করল তারা। বন্ধুত্বের এমন নির্মম পরিণতি দেখে আঁতকে উঠছেন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: নার্সিংয়ের পাঠ্যবইতে পণপ্রথার ‘সুফল’! দায় এড়াচ্ছে কাউন্সিল
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২ নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় দুই কিশোরীর ওড়না জড়ানো নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু ছোটবেলা থেকে এত বন্ধুত্ব যাদের মধ্যে, একে অপরকে ছাড়া কীভাবে থাকবে তারা? এক বন্ধু শ্বশুরবাড়ি চলে গেলে আরেকজনের কী হবে? এমন সাত পাঁচ ভেবে শেষমেশ চরম সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলল তারা। যাওয়ার আগে লিখে রেখে গেল শেষ ইচ্ছের কথাও।
হাতে হাত রেখেই আত্মঘাতী হয়েছে দুই কিশোরী। লিখে রেখে গেছে, আমাদের সব কাজ একসঙ্গে করবেন। আমাদের কেউ আলাদা করবেন না। আমরা নিজের ইচ্ছায় এই কাজ করেছি। এভাবেই স্বপ্ন পূরণ করলাম।
মৃত দুই কিশোরীর নাম দীপ্তি রায় এবং প্রিয়াঙ্কা বর্মন। বয়স ১৮ বছর। দীপ্তির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এই মাসেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার। এমন ঘটনায় স্তম্ভিত দুই পরিবার।
পরিবার সূত্রে বলা হচ্ছে ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে হেসে খেলে বড় হয়েছে দীপ্তি প্রিয়াঙ্কা। দুজনে খুব ভাল বন্ধু ছিল। কিন্তু এমন কাজ যে তারা করতে পারে কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
এদিকে যে সুইসাইড নোট তারা লিখে গেছে তা থেকে দুজনের মধ্যে সমকামী সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে। হয়তো সকলের অগোচরেই প্রেম এসেছিল। সমাজের ভয়ে তা আর প্রকাশ পায়নি।