
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আফতাবের (Shraddha Walker Murder) বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৬০০ পাতার চার্জশিটে যেন পরতে পরতে নৃশংসতার ছবি এঁকেছে দিল্লি পুলিশ। একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসছে।
এবার জানা গেল, শ্রদ্ধার শরীরের দেহাংশ নানা জায়গায় ছড়িয়েছিটিয়ে ফেলতে শুরু করলেও, কাটা মাথাটি ৩ মাস ধরে ঘরের ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত আফতাব। তার পরে সেই মাথা ফেলে দিয়ে আসে সে। এই সময়ের মধ্যে ঘরে একাধিক মেয়েকে এনে যৌন সম্পর্ক গড়েছে সে। যখন কেউ আসত, তখন ফ্রিজ থেকে সেসব বার করে রান্নাঘরে রাখত আফতাব, তারা চলে গেলে আবার রান্নাঘর থেকে এনে ফ্রিজে ভরে রাখত শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো ও মাথা। এমনকি সে ওই ফ্রিজেই রাখত খাবারদাবারও।
শুধু তাই নয়, যে দিন লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব, অর্থাত ২০২২ সালের ১৮ মে, সেদিন খুনের পরেই অনলাইনে চিকেন রোল আনিয়ে খেয়েওছিল আফতাব, চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে পুলিশ।। জানিয়েছে, ওই দিনের পর তিন দিন ধরে আফতাব অনেকগুলো জলের বোতলও অর্ডার করে।
আফতাব ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে, শ্রদ্ধা সবসময় ঝগড়াঝাঁটি করত বলেই সে রেগে গিয়ে শ্রদ্ধাকে খুন করবে বলে ভেবেছিল। আফতাবের কথায়, ‘আমি ওকে ধরে মেঝেতে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ওর বুকে চড়ে বসি। তার পরে দু’হাত দিয়ে গলা টিপে ধরি, যতক্ষণ না মরে যাচ্ছে। তার পরে দেহটা বাথরুমে নিয়ে যাই।’
খুন করার পরে প্রথমে শ্রদ্ধার দেহ লোপাটের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে আনার কথা ভেবেছিল সে। একটি ব্যাগ কিনেও এনেছিল। কিন্তু তার পরে সে বুঝতে পারে, এই ব্যাগে ভরে দেহ ফেলে দিলে সহজেই ধরা পড়ে যেতে পারে। তাই আরও ভাবার পরে শেষে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে কাটার কথা ভাবে।
এখানেই শেষ নয়। চার্জশিট বলছে, নৃশংসতার আরও অনেক বাকি। শ্রদ্ধাকে খুন করার পরে সেই প্রমাণ উধাও করার জন্য তাঁর শরীরের হাড়গোড় রান্নাঘরের মিক্সিতে ভরে গুঁড়ো করে দিয়েছিল আফতাব। এমনকি হাড় কাটার জন্য কাচ কাটার বিশেষ যন্ত্রও কিনে নিয়ে এসেছিল সে!
চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, দেহ কাটার জন্য একটি করাত, হাতুড়ি এবং তিনটে ছুরিও কিনে এনেছিল সে। পরে একটি ব্লো টর্চ কিনে এনেছিল শ্রদ্ধার হাত থেকে আঙুলগুলি কাটার জন্য। এই এতরকম প্রস্তুতি নিয়ে শেষমেশ শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে সে। কেটে পেলে মাথা। তার পরে সে সব ফ্রিজে রেখে দেয়।
সে জানিয়েছে, কাটাকুটির পরে রক্ত ধোয়ার জন্য দু’টো হাফ লিটারের হারপিকের বোতল কিনেছিল সে। কাচ পরিষ্কার করার আড়াই লিটারের সলিউশনও কিনেছিল। এছাড়াও কিনেছিল ৭২৫ এমএল-এর হ্যান্ডওয়াশ। এই সবকিছুই ব্লিঙ্কিট অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করে কিনেছিল সে।
কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, যুবককে গাছে বেঁধে প্রস্রাব খাওয়াল গ্রামবাসীরা