
View this post on Instagram
মাত্র ৮ বছর বয়সে প্রথম জীবনে বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তখন থেকেই দুচোখে বিমানের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন বাসা বাঁধে, জানিয়েছেন তিনি। সেজন্য পাইলট হওয়াকেই পাখির চোখ করে এগতে থাকেন। বাবা মেয়ের স্বপ্ন পূরণে লোন নেন। দুবছরের কঠোর পরিশ্রম, জেদ অবশেষে সফব হয়। বিমান চালানোর লাইসেন্স পান লক্ষ্মী। জীবনের সেরা মুহূর্ত সেটাই। লক্ষ্মীর কথায়, আমার স্বপ্নেরা ডানা মেলে। বাঁধভাঙা খুশিতে ভেসে যাই। কিছুদিন বাদেই চাকরি হয় এয়ার ইন্ডিয়ায়।
বাবার অবদান বারবার উল্লেখ করে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, কোনও আত্মীয় যখন মেয়ের কথা জানতে চাইত, উনি গর্বের সঙ্গে বলতেন, লক্ষ্মী পৃথিবীতে এসেছে বিমান চালাবে বলেই।
View this post on Instagram
তবে লক্ষ্মী অস্বীকার করেননি, যখন তাঁকে বন্দে ভারত মিশনের জন্য বাছাই করা হয়, বাবা-মা কিছুটা উদ্বেগে ছিলেন। চাননি, মেয়ে এমন ঝুঁকির কাজে সামিল হোক। কিন্তু এই অভিযান যে কতটা জরুরি, কত লোকের জীবন তার ওপর নির্ভর করছে, বোঝানোর পর তাঁরা অবশেষে রাজি হন। মিশনের প্রথম গন্তব্য হিসাবে লক্ষ্মীকে প্রথম বিমান উড়িয়ে নিয়ে যেতে হয় চিনের সাংহাইয়ে। সেই বিমান দেশের মাটি ছোঁওয়ার পর সব উদ্ধার হওয়া যাত্রী তার ক্রুকে উঠে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা দেন। একটি ছোট্ট মেয়ে এগিয়ে এসে লক্ষ্মীকে বলে, সে-ও একদিন তাঁর মতো হতে চায়। বাবা-মায়ের কাছে সেই মুহূর্তটা ভাগ করে লক্ষ্মী বলেন, সত্যিই ওড়ার জন্য আছে অন্তহীন আকাশ!
এরপর লক্ষ্মীর দায়িত্ব বেড়ে যায়। নিজেকে মানসিক, শারীরিক ভাবে চাঙ্গা রাখেন তিনি। এক মাসে তিনটে মিশন সফলভাবে শেষ করেন।
View this post on Instagram
কোভিড ১৯ অতিমারীর তৃতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, ফের ডাক পড়েছে লক্ষ্মীর। কেননা বন্দে ভারত মিশন শেষ হয়নি। আগামী কয়েক সপ্তাহেই ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বিমান উড়িয়ে তাঁকে যেতে হবে নিউ জার্সি। হিউম্যানস অব বম্বেতে লক্ষ্মীর কাহিনি পড়ে দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে তাঁকে কুর্ণিশ করছেন, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।