
সরকারের তরফে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নতুন নিয়মনীতি মানার জন্য তিনমাসের সময় দেওয়া হয়। সরকারি বিধি ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে কিনা, তার তদারকির জন্য একাধিক নোডাল ও গ্রিভান্স আধিকারিক নিয়োগেরও নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, সেইসমস্ত অফিসারের নাম ও ভারতে সংস্থার অফিসের ঠিকানাও সরকারের হাতে জমা দেওয়ার কথা ওঠে। পাশাপাশি বলা হয়, কোনও বার্তা অসংবেদনশীল কিংবা আপত্তিকর হলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তা মুছে ফেলতে হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি এই নির্দেশিকা নিয়ে এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি কেউই। তাই আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও বৈদ্যুতিন মন্ত্রক সংস্থাগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছে। যেখানে সাফ লেখা হয়েছে, নিজেদের বক্তব্য নিশ্চিত করে দ্রুত, সম্ভব হলে আজকের মধ্যেই জানাতে হবে।
অন্যদিকে এর আগে ডিজিটাল নীতির একটি শর্ত নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রে কোনও বার্তা কে পাঠাচ্ছে, তার উৎস খুঁজে বের করতে হবে। অর্থাৎ, মেসেজ ট্রেসিংয়ের সুবিধা আনতে হবে। এতেই বেঁকে বসে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশনও দাখিল করে তারা। জানায়, নতুন বিধির এই শর্ত গ্রাহকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করবে। উল্টোদিকে কেন্দ্র যুক্তি দেয়, সবার আগে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সুরক্ষা। এর সঙ্গে আপোষ করা যাবে না। নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
এই তরজার ফায়সালা এখনও হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে চাপ বাড়িয়ে সংস্থাগুলিকে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলল কেন্দ্র। গোটা বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।