
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলের ইদুক্কি জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এসএফআই নেতা ধীরাজ রাজেন্দ্রন খুনের ঘটনায় অশান্ত গোটা রাজ্য। ছাত্র নেতা খুনের ঘটনায় সিপিএম অভিযোগ করেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাল্টা কংগ্রেসের অভিযোগ, কেরলের জেলায় জেলায় তাণ্ডব শুরু করেছে শাসকদল সিপিএমের বাহিনী।
কেরলের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন পরিকল্পিত ভাবে খুনের দায় কংগ্রেসের উপর চাপাচ্ছে। সোমবার ধীরাজের মৃত্যুর পর থেকেই ইদুক্কি, মলপ্পুরম, পাথানামথিট্টা, কাসারগড়, এর্নাকুলাম—একাধিক জেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, কেরলের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে তাদের শতাধিক কর্মী সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের হামলায় জখম হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর্নাকুলাম, কাসারগড়, ইদুক্কি, ত্রিচূড়, কান্নুর—একাধিক জেলায় কংগ্রেসের অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে।
সবচেয়ে সাংঘাতিক ঘটনা ঘটেছে মলপ্পুরমে। সেখানকার টাউনহলে সোমবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের একটি কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ। এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের একটি মিছিল পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে টাউন হলে প্রায় ঢুকেই পড়েছিল। শেষ মুহূর্তে ওই জমায়েতকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসন।
কেরলে সিপিএম-কংগ্রেস সংঘাত নতুন কিছু না। কিন্তু একুশের ভোটে দ্বিতীয়বার এলডিএফ ফেরার পর এই পরিস্থিতি এই প্রথম। তরুণ ছাত্রনেতার খুন নিয়ে অগ্নিগর্ভ অবস্থা ঈশ্বরের আপন দেশে। কংগ্রেসের বক্তব্য, সিপিএমের নির্দেশেই তাদের ছাত্র-যুবরা রাজ্যে অশান্তি তৈরি করছে, সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। পাল্টা সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেছেন, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগকে দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। খুন করার আগে কংগ্রেসের বোঝা উচিত ছিল কী পরিণতি হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন যা করার করবে।