
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না, বারবার জিজ্ঞেস করেও কিছুতেই কারণ বুঝতে পারছিলেন না অভিভাবকরা। বাড়ি থেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য জোর করা হত ছোট্ট মেয়েটিকে। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন, পড়াশোনা না করার জন্যই স্কুলে যেতে চাইছে না। সব বাচ্চাদের মধ্যেই দেখা যায় এমন অনীহা। কিন্তু আসল কারণ যে অন্য জায়গায়। বৃহস্পতিবার অবশেষে বাড়ির লোকের কাছে মুখ তৃতীয় শ্রেণির ওই মেয়ে। জানা যায়, স্কুলের এক শিক্ষকের যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) ভয়েই স্কুলে যেতে চাইত না নাবালিকা। সেই অভিযোগেই এদিন স্কুলে চড়াও হন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ধূপগুড়ির (Dhupguri) এক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে লাগাতার যৌন নির্যাতন করত। প্রায়ই ওই ছাত্রীর গায়ে আপত্তিজনক অবস্থায় হাত দিত। ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ওই ছাত্রী। নানা অজুহাতে স্কুল যেতে চাইত না সে। মায়ের কাছে জুটত মারধরও। তারপরেও স্কুলে যেতে চাইত না।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকা তার মাকে জানায় সবকিছু। তার মা বাড়ির লোকদের জানান ঘটনাটি। তারপরেই শনিবার স্কুলে চড়াও হন ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁদের রোষের মুখে পড়ে অভিযুক্ত ওই পার্শ্বশিক্ষকের ভাগ্যে জোটে বেধড়ক মার। জুতো পেটা করা হয় তাকে। শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে।
ওই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে লাগাতার যৌন নির্যাতন করত ওই শিক্ষক। ভয়ে মেয়ে স্কুলে আসতে চাইত না। উল্টে মেয়েকেই মারধর করে স্কুলে পাঠাতেন। তবে দিন দুয়েক আগে মেয়ে স্কুল শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়িতে জানায়। ওই শিক্ষকের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীর মা।