
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর মেরুর বরফে ঢাকা দেশ নরওয়ে। সারা বছরই কনকনে ঠান্ডা। কিন্তু নরওয়েতে একবার গেলে প্রকৃতির অসাধারণ রূপের সাক্ষী হওয়া যায়। উত্তর মেরুর অরোরার খেলা নাকি পর্যটকদের বাকরুদ্ধ করে দেয়। গ্রীষ্মকালে এদেশে সূর্যাস্ত হয় না, তাই এখানে সব সময় গোধূলি। তবে শীতের চিত্র ঠিক উল্টো। আর্কটিক এলাকার দেশ নরওয়েতে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত রাতেও সূর্য দেখা যায়। তবে ঝলমলে সূর্য নয়, এর চেহারা অনেকটা গোধূলি বেলার মতো হয়। প্রায় ৭৬ দিন পর্যন্ত সেই সূর্য নরওয়ের আকাশে থাকে। (Science City)
সারা বছর এখানে থাকে আর্কটিক শিয়াল ও বল্গাহরিণ। এখানকার পুরোনো জনগোষ্টীকে সামি বলা হয়। যাদের মূল কাজ বল্গাহরিণ প্রতিপালন। আর্কটিককে বলেন ‘তুষার স্বর্গ’।
সেই তুষারকে তুলে ধরা হয়েছে ত্রিমাত্রিক ‘লাইফ আন্ডার দ্য স্কাই আর্কটিক স্কাই’ নামে ফুল ডোম সিনেমায়। নরওয়ের হিমবাহের ভারসাম্য, জীববৈচিত্রের ওপর উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে এদিন সিনেমাটি দেখানো হল সায়েন্স সিটির স্পেস থিয়েটারে।
৪১ মিনিটের বিজ্ঞানভিত্তিক সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে আর্কটিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে। সেখানকার সামিদের পরিবার। সেখানকার উপকথা। প্রতিবছরই সায়েন্স সিটি তরফে স্পেস থিয়েটারে চলা সিনেমা বদলানো হয়। এই সিনেমার আগে চলছিল ‘অস্ট্রেলিয়া গ্রেট ওয়াইল্ড নর্থ।’ সিনেমাটি ১ লক্ষ, ৬০ হাজার মানুষ দেখেছেন।
সায়েন্ট সিটির অধিকর্তা অনুরাগ কুমার এদিন নতুন সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘কলকাতার এই গরমে স্পেস থিয়েটারে নরওয়ের বরফ ও সুন্দর প্রাকৃতিক বৈচিত্র দেখতে আশাকরি মানুষের খুবই ভালো লাগবে। একটা অন্য অভিজ্ঞতা হবে।’
সায়েন্স সিটির ডিরেক্টর জেনারেল অরিজিৎ দত্ত বলেন, ‘প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিনেমাটি দেখানো হবে। মোট ৬টা শো। টিকিট ৮০টাকা। তবে স্কুলের বাচ্চাদের জন্য আলাদা প্যাকেজ আছে।’
স্কুল সার্ভিসের চেয়ারম্যান পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার