
একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (SC) জানিয়েছে, শিক্ষার পরিষেবাও ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় আসবে কিনা তা ভেবে দেখবে আদালত। মামলাকারী ব্যক্তি তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য স্কুলকে দায়ী করে বিচার চেয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বি ভি নগরন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছেন, এমনই একটি মামলায় রায়দান স্থগিত আছে সুপ্রিম কোর্টে। দুই মামলাকে একসঙ্গে মিলিয়ে বিবেচনা করা হবে।
শিক্ষার পরিষেবা অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায়। আর তাই একেও ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী। জানা গেছে, মামলাকারী লখনউয়ের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয় স্কুলে দুর্ঘটনায়। সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে যায় ছেলেটি। এই ঘটনায় তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করে ন্যাশানাল কনজিউমার ডিসপ্যুটস রেড্রেসাল কমিশনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে এই বলে ফেরানো হয় যে শিক্ষা ক্রেতা সুরক্ষা আইন (১৯৮৬)-র আওতায় পড়ে না। স্কুলের কোনও আনুষাঙ্গিক পরিষেবা যেমন সাঁতার, নাচ, গান, আঁকা ইত্যাদিও মামলা করার মতো পরিষেবা নয়। ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান মামলাকারী।
তিনি জানান, যে স্কুলে তাঁর ছেলে পড়ত সেখানে সামার ক্যাম্পের নানা কার্যক্রম প্রায়ই লেগে থাকত। সাঁতারের জন্য সেখানে আলাদা করে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। একদিন স্কুল থেকে হঠাৎ তাঁর কাছে ফোন আসে এবং স্কুলে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন সাঁতারের সময় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের। এই ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর জন্য ২০ লক্ষ, যে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার জন্য ২ লক্ষ এবং মামলা খরচ বাবদ আরোও ৫৫ হাজার টাকা দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন মৃতের বাবা। ক্রেতা সুরক্ষা আইনের আওতায় না পড়ার জন্য এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয় প্রথমে।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শিক্ষাকেও এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।