২০২০ র ৮ সেপ্টেম্বরের নির্দেশের সংশোধনী চাওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। সেই নির্দেশে কেন্দ্রীয় পথ পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রককে ২০১৮ সালের সার্কুলার মেনে চলতে বলা হয়েছিল। সার্কুলার অনুসারে চিন সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়া চার ধাম হাইওয়ে প্রকল্পে রাস্তার প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ সংশোধন করে ঋষিকেশ থেকে মানা, ঋষিকেশ থেকে গঙ্গোত্রী, তনকপুর থেকে পিথোরগড় পর্যন্ত জাতীয় সড়কগুলিকে দুই লেনের রাস্তায় বদলের অনুমতি চায়।
এই প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক অতীত দেশের সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তার সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হাজির হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রয়োজনের ব্যাপারে এই আদালত দুবার ভাবতে পারে না, মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। যদিও একইসঙ্গে চারধাম হাইওয়ে প্রকল্প চওড়া করার ফলে পরিবেশসংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টাও মাথায় রেখে একটি ওভারসাইট কমিটি গঠন করেছে। কমিটির মাথায় আছেন প্রাক্তন বিচারপতি এ কে সিকরি। পরিবেশের স্বার্থে যাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, প্রকল্প রূপায়ণের সময় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির প্রাসঙ্গিক সুপারিশগুলি পালিত হয়, তা সুনিশ্চিত করবে কমিটি।
চারধাম প্রকল্পে মাত্র সাড়ে ৫ মিটার রাস্তা চওড়া করার অনুমতি দেওয়া আগের আদেশ সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পথ পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের সার্কুলারে পাহাড়ি এলাকায় দুই লেনের রাস্তা নির্মাণে নিষেধ করা হয়নি যদি তা কৌশলগত ও সীমান্ত সংক্রান্ত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চাহিদা, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বিচারবিভাগ নাক গলাতে পারে না, এও বলছে সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, ৯০০ কিমি দীর্ঘ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চারধাম প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের চার পবিত্র শহর যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথের মধ্যে সব ঋতুতে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে। ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে প্রকল্পের জন্য।