
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, সফল প্রার্থীদের আজ থেকেই রেকমেন্ডেশন লেটার পাঠানো শুরু হবে। বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলাগুলিতে এই সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুল রয়েছে। সে সব স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেবেন সফল প্রার্থীরা।
অনেকেই মনে করছে, এটা রাজ্য সরকারের ভোটের আগে জঙ্গলমহলের মন পাওয়ার একটা চেষ্টা। এই কারণেই এত তড়িঘড়ি ফল প্রকাশ করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কারণ এত দ্রুত নিয়োগ-পরীক্ষার ফলপ্রকাশ এসএসসি-র ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন। ২৮, ২৯ জানুয়ারি এবং ২, ৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়েছিল। সবমিলিয়ে ১৫ দিনের মধ্যেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রস্তুত করে আজ সন্ধেয় প্রকাশিত হবে মেরিট লিস্ট।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রকাশ করেছিল। সেই অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কুল এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া একেবারে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পরে ২১ ডিসেম্বর সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম-দশম স্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। মূলত সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট এবং তার পরে বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে দু-মাসের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করল কমিশন।
অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসীরা মুখ ফিরিয়েছে শাসকদলের থেকে। যদিও অলচিকি ভাষায় বিভিন্ন ক্লাসের বই তৈরি করা থেকে শুরু করে পরীক্ষা নেওয়া একাধিক ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রও অলচিকি ভাষায় করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এবার দ্রুত নিয়োগ করেও ইতিবাচক বার্তাই দিতে চাইল তারা।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বড় কম নয়। চলছে একাধিক মামলাও। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে প্রায় সাত বছর ধরে। কিন্তু তার মধ্যেই সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ঝড় তুলে দিল কমিশন।