
সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দমদমের ওই ব্যক্তি কয়েক দিন আগে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর বয়স ৫৪ বছর। জানা যায়, সম্প্রতি তিনি বিদেশে যাননি। মনে করা হচ্ছিল, যে কলকাতায় তথা বাংলায় এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও খোঁজ মিলল যাঁর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ দেশে বা এই রাজ্যেই থেকেই হয়েছে। ডাক্তারদের কাছে সেটাই সবথেকে উদ্বেগের হয়ে ওঠে। সেই কারণেই তাঁকে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে বেশি চিন্তা রয়েছে। তার উপরক ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস পজ়িটিভ যে ক’ঠি ঘটনা ধরা পড়েছে, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি গত কয়েক দিনে কত জনের সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছেন, তার কড়া নজরদারি চলছে। এই সংখ্যাটা কয়েক হাজার। চোখে চোখে রাখা হচ্ছে তাঁদেরও, প্রয়োজনে পরীক্ষাও করা হচ্ছে। কলকাতারই আর এক আক্রান্ত, বালিগঞ্জের তরুণের পরিবারের মা, বাবা ও পরিচারিকার লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে রবিবারই। চিকিৎসকরা মনে করছেন, সামাজিক সংক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে আছে পরিস্থিতি।
সেক্ষেত্রে দমদমের এই প্রৌঢ়র বাড়ির পরিচারিকা শুধু নয়, সেই পরিচারিকার পরিবারের সদস্যদেরও সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে চান না চিকিৎসকরা। তাই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই পরিবারের সকলেরই লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল আজ।