Latest News

Russia Ukraine War History: কেন যুদ্ধের দামামা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে, জেনে নিন সংঘাতের ইতিহাস

দ্য ওয়াল ব্যুরো : কূটনীতি আর যুদ্ধের প্রস্তুতি (Russia Ukraine War History), দু’টোই চলছে একইসঙ্গে। একদিকে ইউক্রেন (Ukrain) নিয়ে শীর্ষ বৈঠকের জন্য তোড়জোড় করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Biden)। অন্যদিকে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্তের দিকে ট্যাঙ্ক আর সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে এগোচ্ছে রুশ সেনা। ইউক্রেন সমস্যাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে আবর্তিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি (Russia Ukraine War History)। এত বড় সমস্যা সৃষ্টি হল কোথা থেকে (History)?

বিপজ্জনক অবস্থান (Russia Ukraine War History)

পূর্বে রাশিয়া (Russia), পশ্চিমে পোল্যান্ড। উত্তরে বেলারুশ। দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগর। তার মধ্যে অবস্থিত ইউক্রেন (Ukraine)। ভৌগোলিক অবস্থানই দেশটিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

পোল্যান্ড দেশটি আমেরিকার ঘনিষ্ঠ। ইউক্রেনও প্রায়ই আমেরিকা থেকে নানা সাহায্য পেয়ে থাকে। যদিও ওই দেশ এখনও মার্কিন সামরিক জোট ন্যাটোর শরিক নয়। আমেরিকা চায়, ইউক্রেন তার আরও ঘনিষ্ঠ হোক। তাহলে রাশিয়া পূর্ব ইউরোপে বেশি প্রভাব বাড়াতে পারবে না। কিন্তু রাশিয়াও কি অত সহজে ছেড়ে দেবে? বহুকাল ধরে রুশ সম্রাটের অধীনে ছিল ইউক্রেন। পরে কমিউনিস্ট জমানাতেও ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত রাশিয়ায় অঙ্গরাজ্য। সেদেশে বহু মানুষ রুশ ভাষায় কথা বলেন। ভ্লাদিমির পুতিন চান, ইউক্রেনের ওপরে রাশিয়ায় নিয়ন্ত্রণ কায়েম হোক (Russia Ukraine War History)। তাহলে আমেরিকা পূর্ব ইউরোপে নাক গলাতে পারবে না।

অর্থাৎ দুই শত্রু শিবির রাশিয়া ও আমেরিকার মাঝামাঝি অবস্থান করছে ইউক্রেন। কে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে তা নিয়েই দ্বন্দ্ব বেধেছে দুই বৃহৎ শক্তির। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছেন পুতিন। বাইডেন পাল্টা হুমকি দিয়েছেন, হামলা হলে ন্যাটোও ছেড়ে কথা বলবে না।

৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানব শৃঙ্খল

১৯৮৯-৯০ সালের কথা। গোটা পূর্ব ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কমিউনিস্ট বিরোধী বিক্ষোভ। সোভিয়েত শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তোলপাড় ইউক্রেনও। পথে নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। চার লক্ষ মানুষ হাত ধরাধরি করে তৈরি করলেন মানব শৃঙ্খল। তার দৈর্ঘ্য ছিল ৪০০ কিলোমিটার। তাঁদের দাবি ছিল, সোভিয়েতের হাত থেকে মুক্তি চাই, এখনই।

ইউক্রেনের মানব শৃঙ্খল

১৯৯০ সালের ১৬ জুলাই। সোভিয়েত শাসনকে অগ্রাহ্য করে তৈরি হল ইউক্রেনের নিজস্ব পার্লামেন্ট। তার নাম রাদা। সেখান থেকে আহ্বান জানানো হল, ইউক্রেনের যে নাগরিকরা সোভিয়েত সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন, তাঁরা যেন অবিলম্বে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন। চেরনোবিলের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার জন্যও মতপ্রকাশ করল রাদা।

তারপরে এল সেই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ। ২৪ অগাস্ট রাদা ঘোষণা করল, ইউক্রেন স্বাধীন। সে আর সোভিয়েতের অঙ্গরাজ্য নয়। ততদিনে সোভিয়েত তখন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা সোভিয়েত সেনার ছিল না। ওই বছর ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙেই পড়ল সোভিয়েত সাম্রাজ্য।

জোটনিরপেক্ষ বিদেশনীতি (Russia Ukraine War History)

স্বাধীন হওয়ার পরেই ইউক্রেনের দিকে নজর দিল আমেরিকা। ন্যাটোর তৎকালীন প্রধান উড়ে গেলেন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ক্রাভচুকের সঙ্গে তাঁর শলাপরামর্শ হল। ক্রাভচুক কিন্তু তখনই আমেরিকার শিবিরে যোগ দিতে রাজি ছিলেন না।

সোভিয়েত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে ইউক্রেনে থেকে গিয়েছিল বিপুল পরিমাণে পরমাণু অস্ত্র। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ছিল ওই দেশে। প্রেসিডেন্ট ক্রাভচুক প্রস্তাব দিলেন, তিনি একে একে অস্ত্রগুলি দেশ থেকে সরিয়ে ফেলবেন। বিনিময়ে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, রাশিয়া, আমেরিকা বা ব্রিটেন তাঁর দেশে আক্রমণ করবে না। বৃহৎ শক্তিগুলি মেনে নিল সেই প্রস্তাব। স্বাক্ষরিত হল বুদাপেস্ত মেমোরেন্ডাম।

অর্থাৎ আজ থেকে তিন দশক আগে ইউক্রেন নিরপেক্ষ থাকতে চেয়েছিল। কারও প্রভাবে না থেকে স্বাধীনভাবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছিল সেই দেশ। কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল রাশিয়া ও আমেরিকা (Russia Ukraine War History)।

ক্রমাগত টানাপড়েন (Russia Ukraine War History)

১৯৯৪ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিওনিদ কুচমা। তিনি দেশের বহু শিল্পের বেসরকারিকরণ করেন। তাঁর আমলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। তিনি পুতিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলতেন। কিন্তু ২০০০ সাল নাগাদ তাঁকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, তিনি অসৎ উপায়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এরপরে একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে আসে। তাতে শোনা যায়, কুচমা এক সাংবাদিককে খুন করার অর্ডার দিচ্ছেন।

২০০৪ সালে ইউক্রেনে ভোট হয়। কুচমার বিরুদ্ধে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ নামে এক নেতাকে মদত দেয় আমেরিকা। ভোটের প্রচারের সময় ‘রহস্যময়ভাবে’ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইয়ানুকোভিচ। তা সত্ত্বেও অবশ্য জেতেন তিনিই। এরপরে দ্রুত ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করতে চায় আমেরিকা। কিন্তু ইয়ানুকোভিচ বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি কীসের’? তিনি চাইছিলেন, তাঁর দেশ আপাতত ন্যাটোর সহযোগী হিসাবে থাক। পূর্ণ সদস্য হবে পরে। তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশ।

গোলমাল শুরু

২০১৩ সালের নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্যের চুক্তি করতে অস্বীকার করেন ইয়ানুকোভিচ। তাতে অসন্তুষ্ট হয় রাশিয়া। তাদের মদতে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে শুরু হয় গোলমাল। রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিক্ষোভকারীদের ওপরে গুলি চালাতে নির্দেশ দেন ইয়ানুকোভিচ।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইউক্রেনে হানা দেয় রুশ ফৌজ (Russia Ukraine War History)। ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের বড় অংশ তারা দখল করে নেয়। ক্রাইমিয়ার বাসিন্দাদেরও অনেকে ছিল রাশিয়ার পক্ষে। এরপরে রাশিয়ার অনুগামী জঙ্গিরা ইউক্রেনের উত্তরে দোনবাস অঞ্চল দখল করে নেয়।

রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা

অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় আট বছর আগেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হানাদারি শুরু হয়েছিল। তখন পশ্চিমী দেশগুলি নানাভাবে তাদের আটকাতে চেষ্টা করে। রাশিয়ার একাধিক কোম্পানির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি।

ক্ষমতায় এক কমেডিয়ান

ক্রমাগত সংকটের মধ্যে থাকার ফলে ইউক্রেনের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে এসেছিল। জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছিল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল বেকারত্ব। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ভোট হল দেশে। ক্ষমতায় এলেন ভোলোডিমির জেলেনস্কি। তিনি আগে পেশায় ছিলেন কমেডিয়ান। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অর্থনীতি ফের চাঙ্গা করে তুলবেন। ইউক্রেনের অভ্যন্তরে আর রাশিয়াকে নাক গলাতে দেবেন না।

জেলেনস্কির পরিকল্পনা ছিল আমেরিকার সহায়তায় রাশিয়াকে কোণঠাসা করবেন (Russia Ukraine War)। কিন্তু বাদ সাধলেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আচমকাই ঘোষণা করলেন, আমেরিকা থেকে কোনও সাহায্য পাবে না ইউক্রেন। তারা নিজেদের শক্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া করুক। জেলেনস্কি তখন হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। ট্রাম্প বললেন, একটি শর্তে তিনি ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পারেন। ইউক্রেনে ব্যবসা করত বুরিসমা হোল্ডিং নামে এক কোম্পানি। তার অংশীদার ছিলেন ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ জো বাইডেন। ট্রাম্প চাইছিলেন, বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ দিন জেলিনস্কি। তাহলে বিপাকে পড়বেন তাঁর প্রতিপক্ষ। জেলিনস্কি নাকি তদন্তের আদেশ প্রায় দিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার আগে সব জানাজানি হয়ে যায়। ট্রাম্প ফ্যাসাদে পড়েন।

২০২১: উত্তেজনা শুরু  

সারা বিশ্ব যখন অতিমহামারীতে টালমাটাল, তারই মধ্যে ২০২১ সালের এপ্রিলে শোনা গেল, ইউক্রেন সীমান্তে ১ লক্ষ সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। বিপদ বুঝে জেলিনস্কি তড়িঘড়ি ন্যাটোর সদস্য হতে চাইলেন। কিন্তু রাশিয়া বলল, অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা সেনা সরিয়ে নিচ্ছি। যদিও সেনা সরানোর কোনও লক্ষণ দেখা গেল না।

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি।

অগাস্টে জেলিনস্কি উড়ে গেলেন আমেরিকায়। হোয়াইট হাউসে তাঁর সঙ্গে বৈঠক হল বাইডেনের। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, ইউক্রেনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে তাঁর দেশ।

নভেম্বরে ইউক্রেন সীমান্তে আরও সেনা পাঠাল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব লিওড অস্টিন বললেন, পুতিন কী করতে চান আমরা জানি না। তবে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি।

অর্থাৎ তখনও লিওড অস্টিন বিশ্বাস করেননি, রুশ সেনা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু ডিসেম্বরেই বাইডেন ফোনে সতর্ক করলেন পুতিনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করলে বিরাট মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে (Russia Ukraine War)। পুতিন যেন সেকথা খেয়াল রাখেন।

পাল্টা শর্ত দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বললেন, আমেরিকা প্রতিশ্রুতি দিক, ইউক্রেনকে কখনই ন্যাটোর সদস্য করা হবে না। শুধু তাই নয়, রোমানিয়া ও অপর যে দেশগুলি ১৯৯৭ সালের পরে ন্যাটোর সদস্য হয়েছে, সেখান থেকেও সেনা সরিয়ে নিতে হবে (Russia Ukraine War History)।

২০২২: যুদ্ধের আতঙ্ক (Russia Ukraine War History)

গত কয়েক মাসে আমেরিকা, রাশিয়া ও ইউরোপের নানা দেশের কূটনীতিকরা বার বার বৈঠকে বসছেন। কিন্তু ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ নেই। জানুয়ারির শুরুতে রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মার্কিন প্রশাসনকে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ করার পরিকল্পনা তাঁদের নেই। কিন্তু আমেরিকার সেকথায় বিশ্বাস করেনি। ২৩ জানুয়ারি ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস থেকে সব কর্মীকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় বিদেশ দফতর। ২৪ জানুয়ারি আমেরিকা জানায়, যুদ্ধের জন্য সাড়ে আট হাজার সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্মানুয়েল মাকরঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শুলজ উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু বাইডেন ১ হাজার মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে রুমানিয়ায় আসার নির্দেশ দেন। পোল্যান্ড ও জার্মানিতে আরও ২ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয় (Russia Ukraine War)।

১০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে যৌথ সেনা মহড়া শুরু করে রাশিয়া ও বেলারুশ। ১১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের চলে আসার পরামর্শ দেয় আমেরিকা ও ব্রিটেন।

অনেক দেশই চাইছে না, অতিমহামারী শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আপাতত যদি যুদ্ধ ঠেকানো যায়ও, শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। যতদিন কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত ওই দেশটি নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার রেষারেষি থাকবে, ততদিন কোনও না কোনওভাবে থেকেই যাবে উত্তেজনা (Russia Ukraine War)।

চিন নিয়মিত উস্কানি দিচ্ছে ভারতকে, সেনেটে বললেন মার্কিন কূটনীতিক

You might also like