
অফলাইনে কখনও ক্লাসই করেনি প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণীর অধিকাংশ পড়ুয়া, বলছে সমীক্ষা
স্কুলজীবনে ছাত্রছাত্রীদের কড়া নিয়মের মধ্যেই বেঁধে রাখা হয় সাধারণত। কচিকাঁচাদের জন্য থাকে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। পরিচ্ছন্ন পোশাক থেকে শুরু করে পায়ের জুতো, হাতের নখ, স্কুলে সবটাই দেখা হয় কড়া চোখে। কিন্তু এতদিন বন্ধ থাকার পর শহরের স্কুলগুলোতে এই নিয়ম-কানুন অনেকটাই শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মনরোগ বিশেষজ্ঞরাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন এতদিন বাচ্চারা যে বাড়ির আবহের মধ্যে ছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্কুলের নিয়ম-কানুন শিথহিল হওয়া জরুরি। তাদের উপর এখনই কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
দেখা যাচ্ছে, এই ক’দিন বাড়িতে থেকে স্কুলের কড়াকড়ি একেবারেই ভুলে গেছে পড়ুয়ারা। অনেক ছাত্রী মাথার চুলে নানারকম রং করে স্টাইল করেছে। চুল লম্বা করেছে ছেলেরা। কিন্তু সেসব যেন দেখেও দেখছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এমনকি স্কুলে সকাল সকাল যে সময়ের মধ্যে ঘড়ি ধরে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হত, তাও করা হচ্ছে না। খানিকটা বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য।
এখন যারা ক্লাস নাইনে পড়ে, দুবছর আগে ক্লাস সেভেনে তারা শেষবার শীতের পোশাক পরে স্কুলে এসেছিল। স্বভাবতই এই দুবছরের মধ্যে সেগুলি বেশ ছোট হয়ে এসেছে। যেসব স্কুলে পোশাকের সামান্যতম হেরফেরে কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত করা হত, সেখানেও এখন অনেক ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মডার্ন হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল দময়ন্তি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা কড়াকড়ি একটু কম করছি এখন। স্কুলের রং ঠিক থাকলে বাড়ির সোয়েটার বা কার্ডিগ্যান ছাত্রছাত্রীরা পরে আসতে পারে। আমরা কিছু বলছি না।
সকলেই জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়ে কিংবা তাদের বাবা-মায়ের উপর নতুন করে কোনও চাপ আমরা দিতে চাইছি না।