
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদানি গ্রুপের (Adani group) শেয়ার কেলেঙ্কারি এবং গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে বিরোধীদের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মঙ্গলবারই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সংসদে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদেই আদানিরা বিশ্ব ধনীর তালিকায় দু’নম্বর স্থান দখল করেছিল। বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে বারে বারে অচল হয়েছে সংসদের চলতি অধিবেশন। এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব সমর্থনে বিরোধীদের রাজি করাতে পারেনি সরকার ও শাসকদল।
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে আজ স্বস্তি দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS)। নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি গৌতম আদানিরও পাশে দাঁড়িয়েছেন মোহন ভাগবতেরা। মঙ্গলবার আরএসএসের সর্বভারতীয় মুখপত্র অর্গানাইজারে এক নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র এবং আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক ভারত বিরোধী চক্রান্ত। এর ফলে লাভবান হবে চিন।
প্রসঙ্গত, গৌতম আদানি তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে প্রথম দিন থেকেই এই কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ভারতীয় কোম্পানি বলেই তাঁকে নিশানা করা হয়েছে। সঙ্ঘের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, বিশ্ব বাজারে ভারতের অর্থনৈতিক প্রগতি আটকে দেওয়াই তথ্যচিত্র এবং আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আসল উদ্দেশ্য। সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে আরএসএসের মুখপত্র বলেছে, পরিকল্পনা করে নিশানা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।
অর্গানাইজার লিখেছে, এবারই নতুন নয়, চিনের স্বার্থে ভারতের প্রগতি আটকে দেওয়ার অনেক নজির সাম্প্রতিক অতীতে আছে। কখনও পরিবেশ, কখনও মানবাধিকারের ইস্যুতে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের কপার কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ সামনে এনেছে আরএসএস। নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে পরিবেশবাদীদের দাবির মুখে ওই কারখানা বন্ধ হওয়ার সময় ভারত ছিল তামা রপ্তানিতে বিশ্বের এক নম্বর স্থানে। ওই কারখানা বন্ধ হওয়ার পর বিশ্বে ভারতের বাজার চলে যায় চিনের দখলে। আরএসএসের অভিযোগ, ওই আন্দোলনে মদত জোগায় চিনের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত ব্রিটেনের সংস্থা।
আদানি-মোদী সম্পর্ক নিয়ে রাহুল সরব হতেই প্রিয়ঙ্কার স্বামীকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের