
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার গল্প নতুন নয়। মনের মানুষের খোঁজে কতবার এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে দুর্ধর্ষ প্রেমিকেরা। সাহিত্যে, নাটকে, সিনেমায় এমন বাধা বিপদ না-মানা মানবিক প্রেম দেখতে অভ্যস্ত আমরা৷ কিন্তু মানুষের বদলে গল্পটা যদি হয় মানুষখেকো চারপেয়েদের! অবিশ্বাস্য শোনালেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে বলে দাবি করছেন সুন্দরবনের বন দফতরের কর্মকর্তারা। মনের মতো সঙ্গিনীর খোঁজে প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এপারের জলে-জঙ্গলে হাজির হচ্ছে একের পর এক রয়্যাল বেঙ্গল (Royal Bengal Tiger)। ফলে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে ক্রমেই বাড়ছে বাঘের সংখ্যা।

দুই দেশ মিলিয়ে সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর সিংহভাগ অংশই বাংলাদেশের অন্তর্গত। আয়তনে যা প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার। বাকি চার হাজার কিলোমিটার রয়েছে ভারত তথা পশ্চিমবাংলায়। সম্প্রতি সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে স্ত্রী বাঘের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই সঙ্গীর খোঁজে ভারতে চলে আসছে একের পর এক পুরুষ বাঘ (Royal Bengal Tiger)। এক সমীক্ষায় জানা গেছে, বাংলাদেশের খুলনা জেলার অন্তর্গত ম্যানগ্রোভ অরণ্যের পুরুষ বাঘেরা মেটিং সিজনে প্রায়ই পাড়ি দিচ্ছে এ দেশে। সীমান্ত অতিক্রম করতে কখনও তাদের সাঁতরে পার হতে হচ্ছে নদী, কখনও মাইলের পর মাইল বিস্তৃত দুর্গম ম্যানগ্রোভ জঙ্গল পার করতে হচ্ছে। তবে সেসব তোয়াক্কা না করে, কষ্ট সহ্য করেও তারা হাজির হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে। কেবল ভালবাসার খোঁজে। এখনও পর্যন্ত এরকম বেশ কয়েকটি পুরুষ বাঘ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান।
এর আগেও খাবারের টানে ওদেশের জঙ্গল ছেড়ে ভারতীয় অংশে চলে এসেছে রয়্যাল বেঙ্গল৷ বর্তমানে মেটিং সিজনেও দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই সময়টা বাঘেদের মিলনের সময়। মনের মানুষের খোঁজে এই বিশেষ সময়ে সুদুর বাংলাদেশ থেকে তারা পাড়ি দিচ্ছে আমাদের দেশে। নিছক প্রেমের টানেই।