
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু হয়েছে আজ সোমবার থেকেই। অথচ শুরুটাই হল এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) দিয়ে। ঠাকুরপুকুর থ্রি-এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেপরোয়া গতির বাস পিষে দিয়ে যায় ইএসআই হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীকে। জানা গেছে, তিনি নাইট ডিউটি সেরে স্কুটারে বাড়ি ফিরছিলেন। স্কুটার চালাচ্ছিলেন মহিলার ছেলে। সেই সময় বাসের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে পিষে দিয়ে যায় বাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৮টা নাগাদ ডিউটি সেরে ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরের বাড়িতে ফিরছিলেন ইএসআই হাসপাতালের ওই কর্মী । তাঁর নাম রূপা মণ্ডল। জানা গেছে, রবিবার তাঁর নাইট ডিউটি ছিল। নাইট ডিউটি শেষ হতেই এদিন ভোরে তাঁকে নিতে আসেন তাঁর ছেলে। ছেলের স্কুটারে চেপে যাওয়ার সময়ই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাকে পিছনে বসিয়ে স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছেলে। সেই সময় দুটি বেসরকারি বাস পৈলানের দিক থেকে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করতে করতে এগিয়ে আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস স্কুটারে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় স্কুটার উল্টে মা ও ছেলে দু’জনেই রাস্তায় পড়ে যান। দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। কিন্তু তাতে বিপদ এড়ানো যায়নি। ঘাতক বাস ওই মহিলার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। মাথায় হেলমেট থাকায় আঘাত লাগলেও তা প্রাণঘাতী হয়নি রূপা দেবীর ছেলের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাসের চাকা মহিলার মাথার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আদানি: কলকাতায় বিক্ষোভ, সোমবার থেকে সংসদের বাইরেও আন্দোলনে কংগ্রেস
রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে নিকটবর্তী বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রূপাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, দুর্ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলেও ঘাতক বাসটিকে আটকে রাখে এলাকার লোকজন। ধরে ফেলা হয় চালককেও। পরে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ঘাতক বাসের চালককে।