
জেনারেল রাওয়াত জানান, কোভিড সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী। মিলিটারির কাছে অক্সিজেনের যে সিলিন্ডারগুলি আছে, তা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসাররা এমার্জেন্সি হেল্পলাইনের মাধ্যমে পরামর্শ দেবেন। সেনাবাহিনীর নার্সরাও কোভিড মোকাবিলায় চিকিৎসকদের সাহায্য করবেন। এছাড়া সেনাবাহিনী নিজে নানা জায়গায় গড়ে তুলবে কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র। সেনাবাহিনীর পরিকাঠামো সাধারণ মানুষের কাজে লাগানো হবে।
ইতিমধ্যে ভারতে জীবনদায়ী ওষুধ ও চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এই প্রসঙ্গে বাইডেন টুইট করে বলেন, “অতিমহামারী শুরুর সময় আমাদের দেশের হাসপাতালগুলিও সমস্যায় পড়েছিল। তখন সাহায্য করেছিল ভারত। আমরাও ভারতের প্রয়োজনের সময় সাহায্য করতে তৈরি।”
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস টুইট করে বলেছেন, “কোভিড সংকটের মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে আমেরিকা। আমরা ভারতকে সাহায্য করছি। সেই সঙ্গে ভারতের মানুষের জন্য, বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ দেখা দেওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় দুই কর্তা। এর আগে আমেরিকায় রাজনীতিকদের অনেকে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, ভারতে করোনা সংকট যখন গুরুতর হয়ে উঠেছে, তখন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট চুপ কেন?
আমেরিকার বিদেশ দফতরের উপসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যান জানান, ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তিনি যোগযোগ রাখছেন। আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধুর সঙ্গেও তাঁর সম্প্রতি কথা হয়েছে। শেরম্যান বলেন, “এই কঠিন সময়ে আমেরিকার জনগণ ভারতের পাশে আছে। আমরা ভারতকে ভেন্টিলেটর, পিপিই, ভ্যাকসিন তৈরির কাঁচামাল এবং আরও কিছু জিনিস দিয়ে সাহায্য করব।”
রবিবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। মার্কিন প্রশাসনের তরফে তিনি ঘোষণা করেন, ভারতে চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠানো হবে। আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয়রা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান। বাইডেন টুইট করার পরে আমেরিকায় ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই কঠিন সময়ে আমেরিকা ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। এটা সত্যিই ভাল ব্যাপার।” ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক শেখর নরসিংহন বলেন, “ভারতকে সাহায্য করার জন্য প্রথম পদক্ষেপটি নিল আমেরিকা।”