
রাজবধূ হওয়ার আগে কেমন ছিলেন মেগান! এই ছবিগুলো কেন লুকিয়ে রাখতে চায় বাকিংহাম
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১৮ সালের মে মাসে মেগান মার্কেলকে ভালবেসে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। তখন থেকেই মেগানকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই জনমানসে। কারণ একটাই, তিনি ‘অন্যরকম’।
বিশাল বড় কোনও অভিজাত কুলীন পরিবার থেকে আসেননি মেগান। বরং খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে হয়ে, নিজে লড়াই করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী হিসেবে। পর্দায় জনসমক্ষে অভিনয় করা মহিলা যে রাজপরিবারের বধূ হয়ে আসতে পারেন, এমনটাই ভাবেনি কেউ কখনও! তার ওপর তিনি তিন বছরের বড় হ্যারির থেকে।
বিয়ের দিন থেকেই নিয়ম ভাঙছেন তিনি। বিয়ের দিনই মেগান মার্কেল জানিয়ে দিয়েছেন, রাজপরিবারের এসব নিয়মকানুন তাঁর জন্য নয়। রাজকীয় সেই বিয়েতে তিনি নিজেই গাউন ধরে হেঁটে চলে গেছেন, পেছন পেছন কেউ তা ধরে নিয়ে যায়নি। ব্রিটিশ রাজপরিবারে কালো রংটিকে কেবল শোকের অনুষ্ঠানের জন্য তুলে রাখা হয়। কিন্তু মেগানকে প্রায়ই কালো রঙের পোশাকে দেখা গেছে। এর পরে হ্যাট ছাড়াই তাঁকে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে হাসিমুখে আলাপ করতে দেখা গেছে। অথচ রাজপরিবারের দীর্ঘদিনের প্রথা অনুসারে যেকোনো পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে হ্যাট পরা বাধ্যতামূলক। নিয়ম অনুযায়ী রাজপরিবারের সদস্যরা হাতাকাটা পোশাক পরতে পারবেন না। নিয়মটি মেগান একেবারেই আমলে নেননি। তাঁকে একাধিকবার ‘অফ শোল্ডার’ পোশাকে জনসম্মুখে আসতে দেখা গেছে।
শেষমেশ রাজপরিবার ছেড়েই দেন মেগান। হ্যারির সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে কানাডায় চলে যান তিনি, রাজপরিবারের পরিচয় থেকে নিজেকে মুক্ত করে নতুন ভাবে সংসার গড়েন।
এ হেন ‘ছন্নছাড়া’ মেগানকে নিয়ে রাজপরিবারের তাই অস্বস্তির শেষ নেই। তাঁরা চান না, মেগানের জীবনের ‘সাধারণ’ মুহূর্তগুলো প্রকাশ পেয়ে যাক সর্বসাধারণের কাছে। একেই এই মেয়ে বারবার রাজপরিবারের গাম্ভীর্য চুরমার করে দিয়েছে। তার ওপর যদি দেখা যায় তার ছোটবেলা জুড়ে হাজারো অভিনব কর্মকাণ্ড, তবে তা আরও বেশি করে অস্বস্তির কারণ হবে রাজপরিবারের।
তাই এই ছবিগুলি বিরল, খুবই বিরল। এদের ঠাঁই হয়নি রাজপরিবারের অ্যালবামে। কিন্তু মেগান-ভক্তদের কাছে এই ছবিগুলি অমূল্য। দেখে নিন আপনিও।