
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রায় দিয়েছিল, ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে তদন্ত করতেই হবে পুলিশকে (Police)। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের সঙ্গে বোঝাপড়া করে অভিযোগকারিণী মামলা তুলে নিতে পারবেন না। অভিযোগ, একটি ধর্ষণের মামলার এফআইআর করেনি দিল্লি পুলিশ। এসম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি এক মহিলা পুলিশে জানান, কিছুদিন আগে ফেসবুকে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছিল। সেই ব্যক্তি একদিন মদ নিয়ে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন। ‘ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল’ করে তাঁকেও মদ্যপান করতে বাধ্য করেন। তিনি যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁকে ধর্ষণ করেন ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত সেই ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে বলেন, তিনি হনি ট্রাপের শিকার হয়েছেন। ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী আগেও একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর নাম মনীশ তানোয়ার। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ওই মহিলা একটি কাগজে হাতে লিখে কাপাশেরা থানায় অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনও এফআইআর হয়নি। কারণ অভিযোগকারিণী পরে মনীশের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে নিয়েছিলেন। এমনকি অভিযোগকারিণীর ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়নি। ওই মহিলা পুলিশকে জানান, তিনি রাগের বশে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ তুলে নিতে চান।
দিল্লি হাইকোর্ট জানতে চায়, পুলিশ ২০২০ সালে ওই অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করেনি কেন? অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মামলা তুলে নিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেন?