
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রামপুরহাটে হিংসার ঘটনায় (Rampurhat Violence) সরব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে চিঠি দিল তারা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি তদন্তের পর তিনদিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে সেই চিঠিতে।
বগটুইয়ের ঝলসানো দেহ রাতেই কবর দেওয়া হল, প্রকাশ্যে ৮ নিহতের পরিচয়
কমিশন জানিয়েছে রামপুরহাটে যা ঘটে গিয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের শিশু ও মহিলাদের অদিকার খর্ব হয়েছে। এ নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছে। তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বীরভূমের সুপারকে চিঠি দিয়েছে তারা।
কমিশনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলই এই ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের ইন্ধনেই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা গ্রামে বাড়ি বাড়ি আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। তাদের মধ্যে রয়েছে শিশু আর মহিলারাও। বগটুই আর রামপুরহাটের সমস্ত মহিলা ও শিশুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের দাবিতেই চিঠি লিখেছে কমিশন। নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে তারা বলেছে তদন্তের পর তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট কমিশনকে দেওয়া যেতে পারে।
সোমবার রাতে রামপুরহাটে যা ঘটেছে তাতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। রামপুরহাটের বগটুইয়ে সোমবার রাতে যা ঘটে গেছে তাতে শিউরে উঠেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। প্রথমে তৃণমূল নেতাকে বোমা মেরে খুন এবং তারপর একের পর এক ঘরবাড়িতে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া- ছিছিক্কার পড়ে গেছে চারদিকে। আগুন পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের (দমকলের বয়ান অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০)। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। শিশুরাও ছিল। তাতেই এবার সরব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।